০৪ জুলাই, ২০২০ ১২:৪৮ পিএম

পিপিইসহ ৮ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

পিপিইসহ ৮ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

মেডিভয়েস রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, মানসম্পন্ন খাবার, পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ আট দফা দাবি অঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা বলছেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত। এ ছাড়া অনেকের মধ্যেই দেখা দিয়েছে করোনার উপসর্গ। অনেকেই বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী পর্যাপ্ত দেয়া হচ্ছে না। প্রতিনিয়তই তারা আক্রান্তের শিকার হচ্ছেন। এ কারণেই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষে রামেক হাসপাতালে নিয়মিত কাজে যোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের আট দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সংক্রমিত হওয়ার পর প্রত্যেক ইন্টার্ন চিকিৎসকের জন্য ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা প্রদান, মানসম্মত থাকার জায়গা, মানসম্পন্ন খাবার, পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা, প্রয়োজনবোধে হাই ফ্লো অক্সিজেন থেরাপি (এইচএফওটি) ও আইসিইউ সাপোর্টের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ ছাড়া রয়েছে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান এবং সাতদিন দায়িত্ব পালনের পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করা।

রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনন দাশ বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৫৫ এবং ৫৬ ব্যাচের প্রায় ২০০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন। করোনা দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। কিন্তু গত চার মাসেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করেনি। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চরম অবহেলার শিকার হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান করোনা আক্রান্ত। আমাদের আরও ১০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া কমপক্ষে ২০ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে আসোলেশনে রয়েছেন। এ কারণে আমরা রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সুরক্ষাসহ আট দফা দাবি জানিয়েছি। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিবে। আমরা অচিরেই কাজ শুরু করবো।’

সার্বিক বিষয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত। ফলে তারা দায়িত্ব পালন করছেন না। এ কারণে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তারা কিছু দাবি জানিয়েছেন। আমরা সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে ফিরবেন।

  ঘটনা প্রবাহ : করোনাভাইরাস
বিএসএমএমইউ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা

গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা গিতে গিয়ে ১৮ সমস্যার মুখোমুখি চিকিৎসকরা

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক