ডা. সুরেশ তুলসান

ডা. সুরেশ তুলসান

সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি), কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ।


১৫ জুন, ২০২০ ০৪:১৯ পিএম

কবি দ্বিজেন্দ্র লালের নন্দলাল যখন ‘ডাক্তার নন্দলাল’

কবি দ্বিজেন্দ্র লালের নন্দলাল যখন ‘ডাক্তার নন্দলাল’

কবি দ্বিজেন্দ্র লালের নন্দলাল যখন ‘ডাক্তার নন্দলাল’

----------------------------------------------------------------

করোনাকালে নন্দলাল যে,
ভাবিলো কিছুক্ষন।
আর্তের তরে যা করেই হোক,
লড়িবে সে মরণপণ।
সকলে বলিল, যেওনা যেওনা যেওনারে নন্দলাল।
নন্দ বলিল, করোনা যুদ্ধে ছাড়বোনা আমি হাল।
আমি না লড়িলে কে করিবে দুর,
করোনাই এই ক্লেশ।
তখন সকলে বলিল, মরবেই জেনে, মরতে চাও তো বেশ।

প্রতিবেশী তার করোনায় মরে,
বাঁচাবে তাহারে কেবা ?
সকলে বলিল, যেওনা নন্দ,
কোভিড রোগীর সেবায়।
নন্দ বলিল, করোনা যুদ্ধে পালিয়ে যদি আমি রই ?
নাহয় পালাই, শেষ রক্ষা আমার হইবেটা কি?
লড়াইটা আমার অতি দরকার,
বাজে মৃত্যুঘন্টা চারিদিক।
তখন সকলে বলিল বেঘোরে মরবে,
মরবেই তবে ঠিক।

ফেসবুকে নন্দ হঠাৎ একটা স্টাটাস করিল জাহির,
উপদেশ দিলো গদ্যে পদ্যে হইয়োনা বাড়ির বাহির।
পড়িল ধন্য রোগীর জন্য নন্দ খাটিয়া খুন।
নেইতো সময়ে বিশ্রাম, শ্রান্তি, পরিশ্রম দশগুণ।
দেখিতে লাগিল করোনা রোগী, হইলোনা বেসামাল।
তখন বাড়িওয়ালা বলিল,
ভাড়াটিয়া তুমি, ছাড় মোর বাড়ি, ছাড়বেই তুমি কাল।

নন্দ এখন টকশোতে আসি, ঝাড়ে যত বড় বুলি,
করোনা নিয়ে আছে যত ভয়, সাবধানে তাই চলি।
নন্দ বলিল, রোগীকে নয় করোনাকে ভয় পাই,
সত্য যাই, বলিতেছি তাই, কর্তব্যে না ডরাই ?
বল কিযে তুমি, হার মানি আমি, ভেবো নাকো তুমি তাহা।
তখন অনেকে বলিল, সাহস ব্যাটার, বাহবা,বাহবা,বাহা।

সকলে বাড়ির, হইও না বাহির, কোথায় যে করোনা কি জানি।
চড়িও না গাড়ি না জানি কখন,
পাও করোনার হাতছানি।
নৌকা লঞ্চে ভিড় যে ভীষণ,
রেলে ঠাসাঠাসি হয়।
পথে-হাটে-বাজারে হাঁচি-কাশি আর ছোঁয়াছুঁয়ির যত ভয়।

করোনা যুদ্ধে,পরিজন ছেড়ে, একা লড়ে চলে নন্দলাল।

সকলে বলিল, স্মরিব তোমাকে যদি বাঁচি এইকাল।

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত