জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকরা নীরবে নিভৃতে সেবা দেন: যশোরের সিভিল সার্জন

মেডিভয়েস রিপোর্ট: যশোর জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এইচআইভি পজিটিভ গর্ভবতী মায়ের সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে সফলভাবে সন্তান প্রসব করিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হারুন- অর- রশিদ জানান, সম্প্রতি এক গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে নিয়মিত চেকআপের জন্য আসেন। এসময় পরীক্ষায় তার এইচআইভি ধরা পড়ে। পরে তিনি হাসপাতালের আবাসিক সার্জন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নিলুফার ইয়াসমিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে ও সিভিল সার্জনের পরামর্শে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম গঠন করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গত ২৭ আগস্ট ওই গর্ভবতী মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়েছে। এই মুহূর্তে মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন এবং চিকিৎসক দলের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, ‘সকল রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাই আমাদের কর্তব্য। সীমিত জনবল নিয়ে আমরা বিপুল জনগোষ্ঠীর সেবা দিতে হিমশিম খাই। তার মাঝেও সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে সকলের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। তবে এই রকম ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে সবাই যখন এড়িয়ে চলে, তখনও কিন্তু চিকিৎসকরা নীরবে নিভৃতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও এমন সেবা দেন। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে আমি সাধুবাদ জানাই।

ঝুঁকিপূর্ণ এই অস্ত্রোপচারের পূর্বে ৫  সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের সদস্যরা হলেন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নিলুফার ইয়াসমিন, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মাসকিয়া জান্নাতি, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ইদ্রিস আলী ও রেজিস্ট্রার ডা. গোলাম মোর্তুজা।

এভাবেই সকল কঠিন পরিস্থিতিতে, সেবার আলোকবর্তিকা বহন করে চলেছে দেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এএইচ/