
ডা. শরীফ উদ্দিন
এমবিবিএস (সিএমসি), সিসিডি (বারডেম) ডি-অর্থো (নিটোর),
হাড়-জোড়া, বাত ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন
২৮ অগাস্ট, ২০২৩ ১২:৫৩ পিএম
জেনিথ ফার্মার 'ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস' ওষুধ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে কিছু কথা

সম্প্রতি জেনিথ ফার্মা নামক একটা ওষুধ কোম্পানির একটা ওষুধ ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ওষুধটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্যকরী উপাদান নেই। পরবর্তীতে একজন আইনজীবী আবার হাইকোর্টে এটা নিয়ে রিট করেন, যাতে এই ওষুধটিকে বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়। হাইকোর্ট এই বিষয়ে আদেশ জারি করে।
এই বিষয়টি আমাদের সংবাদমাধ্যমে নিউজ হয়। যে নিউজগুলোর কিছু কিছু ছিলো বিভ্রান্তিকর এবং রোগীরা এটা নিয়ে কনফিউশনে পড়ছেন। প্রথমত কিছু কিছু সাংবাদিক প্রচার করেন, এই ওষুধটা এন্টিবায়োটিক। অথচ এই ওষুধটা আসলে একটা ব্যথানাশক ওষুধ। ব্যথানাশক ওষুধগুলোর অধিকাংশই NSAID ঘরানার। ন্যাপ্রোক্সেন প্লাসও NSAID, এটা এন্টিবায়োটিক নয়।
আমরা যারা বাত ব্যথার রোগী দেখি, তাদের অনেককেই আমরা ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস জেনেরিকের ওষুধ প্রেসক্রাইভ করি, যদিও ব্র্যান্ড নাম বিভিন্ন রকম হয়। অনেক রোগী নিউজ দেখে কনফিউশনে পড়ছেন, এই ওষুধগুলো খাবেন কিনা। তাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, আপনারা কোনো রকম কনফিউশন ছাড়াই প্রেসক্রিপশন ফলো করতে পারেন। শুধুমাত্র জেনিথ ফার্মার ন্যাপ্রোক্সেন প্লাসই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, অন্য কোনো কোম্পানিরটা নিষিদ্ধ করা হয় নাই।
অনেক মানুষ, সাংবাদিক এবং আমাদের অনেক চিকিৎসকও মনে করেন, ডাক্তারদের উচিৎ জেনেরিক নামে ওষুধগুলো প্রেসক্রাইব করা। অথচ এই জেনিথ ফার্মা নামক কোম্পানির সবগুলো ওষুধই জেনেরিক নেমে বাজারজাত করা। এরকম আরো কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড কোম্পানি আছে, যাদের সবগুলো ওষুধই নামহীন এবং সবগুলো ওষুধই জেনেরিক নামেই বাজারে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে জেনেরিক নামের প্রেসক্রিপশনে কাদের মার্কেট প্রতিষ্ঠিত হবে খুব সহজেই আন্দাজ করা যায়।
-
০১ মার্চ, ২০২২