১১ অগাস্ট, ২০২৩ ০৩:১৭ পিএম

এক ভুলে চিকিৎসকের সব অর্জন ম্লান হয়ে যায় না

এক ভুলে চিকিৎসকের সব অর্জন ম্লান হয়ে যায় না
ডা. মো. আরিফ মোর্শেদ খান বলেন, পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে একটা সুরক্ষা থাকা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে রোগীর কল্যাণ হবে এবং একই সঙ্গে চিকিৎসক রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে কোনোভাবেই বাঁধাগ্রস্ত হবে না।

আমাদের দেশে চিকিৎসকদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের দ্বান্দ্বিক-সাংঘর্ষিক অবস্থা প্রায়ই তৈরি হয়। স্বাস্থ্যসেবায় শতভাগ আন্তরিকতা সত্ত্বেও নানা কারণে চিকিৎসকদের উপর খুশি হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। উপরন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু ঘটলেই স্বজনদের তরফে উঠে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। এর পরই ঘটে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা।

এমন নানা স্পর্শকাতর বিষয়ের কারণ ও সমাধানমূলক বিশ্লেষণ শুনতে সম্প্রতি মেডিভয়েস আয়োজন করে বিশেষ অনুষ্ঠানের। টিম মুখোমুখি হয়ে যাচিত প্রশ্নের সাহসী বিশ্লেষণ তুলে ধরেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আরিফ মোর্শেদ খান। কথা বলেছেন আবু নাঈম মনির। প্রতিবেদন সহযোগিতায় ছিলেন সাহেদুজ্জামান সাকিব

যে কারণে ঘটছে চিকিৎসক নিগ্রহ

প্রত্যেকটা মানুষের জীবন চালাতে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। কারও পিপাসা পেলে পানি খাওয়ার মাধ্যমে সমাধান হয়ে যায়। ক্ষুধা পেলে খাবার খেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান এতটা সহজ নয়। প্রত্যেকটা পরিবারে কেউ না কেউ রোগে আক্রান্ত হন। অনেকে লম্বা সময় ধরে রোগে আক্রান্ত থাকেন। ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের রোগীদের দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসা নিতে হয়। এক্ষেত্রে টাকা খরচ হওয়ার পাশাপাশি রোগীদের মনে একটা নেতিবাচক চিন্তা কাজ করে। রোগী মনে করেন চিকিৎসক হিয়তো তাঁকে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছেন না। কিন্তু সারা পৃথিবীতে এখন ৪২ কোটি মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত, যা ২০৪৫ সালে ৫০ কোটিতে গিয়ে পৌঁছবে। বাংলাদেশে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যা ২০৪৫ সালে দাঁড়াবে দেড় কোটিতে। তার মানে এটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ মনে করছেন, বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে তারা ডায়াবেটিসকে পুরোপুরি নির্মূল করে ফেলবেন এবং এটা কেন হচ্ছে না তা নিয়ে মানুষের দুঃখের শেষ নেই। সবগুলো রোগের ক্ষেত্রেই এ রকম হচ্ছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ খুশি হতে পারছেন না। ফলে চিকিৎসকদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের একটা সাংঘর্ষিক পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। মৃত্যু কিংবা অসুস্থতা যে একটা মানুষের জীবনের নিয়মিত অনুষঙ্গ—এটা মেনে নিতে না পারার কারণে বেশিরভাগ সংঘাত হচ্ছে।

উত্তরণের উপায়

এ থেকে উত্তরণের জন্য সবার মাঝে সঠিক স্বাস্থ্য শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য খাতের নীতিনির্ধারকরা প্রকৃত সমস্যাটা সমাজের কাছে তুলে ধরতে পারছেন না। এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বেই আছে। মনে করেন, একজন রোগীকে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলো। চিকিৎসক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখলেন উনি আর বেঁচে নেই। তখন তার স্বজনরা চিন্তা করেন আমরা তো দুই-তিন দিন আগেও কার্ডিওলজিস্ট দেখিয়েছি, তিনি তো ভালোই ছিলেন, আজকে কীভাবে মারা যেতে পারেন? নিশ্চয়ই কার্ডিওলজিস্ট ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ৪৭ শতাংশ মানুষ কোনোরকম চিকিৎসা ছাড়াই মারা যায়। তার মানে বাসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই কিন্তু রোগী মারা যেতে পারে। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে কিন্তু সাধারণ মানুষের মাধ্যে কোনোরকম ধারণা নেই। ফলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। সুতরাং এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রাথমিক ধারণা দেওয়াটা জরুরি।

চিকিৎসক সুরক্ষা আইনের প্রয়োজনীয়তা

চিকিৎসক সুরক্ষা আইনের বিষয়টা সাধারণ মানুষ খুব একটা ভালো চোখে দেখবে না। কোনো আইনেই চিকিৎসকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখি না। আমি মনে করি, পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে একটা সুরক্ষা থাকা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে রোগীর কল্যাণ হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসকের কল্যাণ হবে এবং চিকিৎসক রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে যেন কোনোভাবেই বাঁধাগ্রস্ত না হয়। আমি চাই না চিকিৎসককে এমন কোনো সুবিধা দেওয়া হোক, যার মাধ্যমে অপরাধ করেও তিনি আইনের মাধ্যমে পার পেয়ে যাবেন। আমাদের পুরো সমাজেই ভালো-মন্দ লোকের বসবাস রয়েছে। চিকিৎসকরাও এর ব্যতিক্রম নয়। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তবে নির্দোষ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। সর্বশেষ সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় ডা. মিলি রাত ৩টার সময় এসেছিলেন একজন গুরুতর রোগীকে বাঁচাতে। ডা. মিলির মতো একজন সিনিয়র চিকিৎসককে যেভাবে আত্মসমর্পণের কথা বলা হলো, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। বাংলাদেশে যারা এ ধরনের আইন করতে চান তাদের ক্ষেত্রে আমার অনুরোধ থাকবে বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এসব পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করা হয়।

ভুল চিকিৎসা নির্ধারণের মানদণ্ড

ভুল চিকিৎসা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে সব জায়গায় কথা হচ্ছে এবং এটা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাইরের দেশেও একটা আলোচিত ইস্যু। আমাদের দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৮৮ ও ৮৯ ধারা অনুযায়ী, চিকিৎসক যদি ভালো চিকিৎসা দিতে গিয়ে রোগী ক্ষতিগ্রস্তও হয় এটার জন্য তিনি দায়গ্রস্ত হবেন না। কিন্তু ৩০৪ এর ক ধারায় বলা হয়েছে চিকিৎসক খুনের উদ্দেশ্যে না করলেও যদি তাঁর অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে তাঁকে দোষী সাব্যস্থ করা যাবে। এই ধারার উপর ভিত্তি করেই এখনকার মামলাগুলো হচ্ছে। এখন চিকিৎসক যদি ভুল চিকিৎসা দিয়ে থাকে কিংবা তাঁর যোগ্যতার ঘাটতি থাকে, তাহলে সেটা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞ চিকিৎসকই বলতে পারবেন। সাধারণ মানুষের তো এ বিষয়ে ধারণা কম। কারও নিকটাত্মীয় হাসপাতালে মারা গেলে তাঁর কিন্তু মানসিক অবস্থা মোটেও ভালো থাকে না। এ অবস্থায় যখন কোনো সাংবাদিক তাঁর সামনে বুম ধরবেন, তখন তিনি কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকের ওপর ক্ষোভ ঝাড়বেন। তাই বলে তাঁর কথা কোট করে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলাটা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। ঠিক একই রোগী যদি বাসায় মৃত্যুবরণ করতেন, তাহলে কিন্তু বলা হতো এটা আল্লাহর ইচ্ছে, আজরাইল নিয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী ৮ শতাংশের বেশি মানুষ ঘুমের মধ্যে মারা যায়, তাই বলে কি ঘুমের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। মানুষকে তো মরতেই হবে আজ অথবা কাল। সুতরাং এ রকম কোনো ইস্যু সামনে এলে সেটা রিপোর্টিং করতে হবে। এটার মানে এ নয় যে, কাউকে ক্রিমিনালাইজড করা ...। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালেই এসবের সমাধান করা যায়।

এক ভুলের কারণে সারাজনমের অর্জন ম্লান হয় না

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অপারেশনের পর রোগীর পেটের ভেতরে গজ কিংবা অপারেশনে ব্যবহৃত যন্ত্র-পাতি থেকে যায়। এটা হচ্ছে একটা মানবীয় ভুল। একজন চালক যিনি বছরের পর বছর গাড়ি চালাচ্ছেন, তিনি যত অভিজ্ঞই হন না কেন তাঁর সামনে যখন একজন পথচারী হঠাৎ এসে দাঁড়িয়ে যান, তখন কিন্তু তার পক্ষে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। আবার দেখা যায়, ড্রাইভার অনেক অভিজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও ড্রাইভ করার সময় তাঁর সামান্য তন্দ্রাভাব এলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও ভুলগুলোও ঠিক এমনই। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে অনেকগুলো সাবধানতার ধাপ অবলম্বন করতে হয়। একটা অস্ত্রোপচারে সার্জন থাকেন, তাঁর সহকারী থাকেন, সিস্টারস থাকেন—এসবের কোনো একটা ধাপে অসাবধনতার কারণে ভুল হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে একটা মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কৃতিত্বের সাথে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন, একটা দুর্ঘটনার কারণে তাঁর এত দিনের কৃতিত্ব কিন্তু ধুলায় মিশে যেতে পারে না। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান সারাজীবন দলকে জিতিয়ে আসছেন, কিন্তু কোনো একটি ম্যাচ তাঁর কারণে হেরে গেলে সাকিব আল হাসান তো খারাপ খেলোয়াড় হয়ে যবেন না, কিংবা তাঁর অতীতের অর্জনগুলো নষ্ট হয়ে যাবে না।

সিজার কি অপ্রয়োজনীয়?

বিজ্ঞানের উন্নতি ও মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সব কিছুতে পরিবর্তন এসেছে। আগের চেয়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেক বেশি বেড়েছে। সিজারের ক্ষেত্রেও তাই। কেন সিজার বেড়ে যাচ্ছে, এটা খোঁজার চেয়ে অপ্রয়োজনীয় সিজার হচ্ছে কি-না, এসব খুঁজে বের করা প্রয়োজন। সিজারের সংখ্যা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে সিজারের পরিমাণ ছিল ৭%, যা ২০২১ সালে এসে হয়েছে ২১%। তাঁর মানে ৩১ বছরে সিজার বেড়েছে তিন গুন। এটা একটা বৈশ্বিক ট্রেন্ড। আধুনিকতার কল্যাণে যত বেশি সুযোগ বেড়েছে, সেসব যদি আগের চেয়ে সহজতর ও উপকারী হয়, তাহলে মানুষ তো তা গ্রহণ করবেই। বাংলাদেশে ৮০ শতাংশেরও বেশি চিকিৎসকের সিজারিয়ান সেকশন হচ্ছে। আমার স্ত্রী একজন গাইনোকোলজিস্ট এবং আমার তিন সন্তানই সিজারিয়ান সেকশনের। তাঁর মানে সে নিজেই যেহেতু গাইনোকোলজিস্ট, সুতরাং সে তো অপেক্ষাকৃত ভালো সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে সিজারিয়ান সেকশনটা আসলেই প্রয়োজনীয় কি না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ১০-১৯ শতাংশ পর্যন্ত সিজার হলে বিশ্বব্যাপী মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো যাবে। তার মানে প্রতি ৫ জনে একজনের সিজার হতেই পারে, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু বাংলাদেশে সিজারের পরিমাণ প্রায় ৩৩ শতাংশ, কীভাবে এটাকে কমিয়ে আনা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।

অতিরিক্ত রোগীর চাপে সেবায় সমস্যা

অতিরিক্ত রোগীর চাপ মোকাবেলায় সবার আগে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এর পর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, স্বাস্থ্য খাতের নীতিনির্ধারকদের সবাইকে একসাথে বসে সমাধান বের করতে হবে। মাঠ পর্যায়ের হাসপাতালগুলো কীভাবে চলে নীতিনির্ধারকদের তা অনেকেই পুরোপুরি জানেন না। তাঁরা তো এসি রুমের চার দেয়ালের ভেতরে বসে এসব কিছু জানবেন না। ফলে দেখা যাচ্ছে, রোগী যথাযথ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে কিনা, এসব দেখার কেউ নেই। অতিরিক্ত রোগীর কারণে বেশিরভাগ সময়েই একজন রোগীর বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়ে উঠে না। রোগীর সব কথা ভালোমতো না শোনার কারণে তারাও খুব একটা খুশি থাকতে পারছে না। এর জন্য সেভাবে হাসপাতালের স্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে, সে অনুযায়ী জনবল নিয়োগ দিতে হবে। সে পর্যায়ে পৌঁছতে সব কিছু থাকতে হবে।

রেফারেল সিস্টেম বাস্তবায়নে বাধা

বাংলাদেশে রেফারেল সিস্টেম বাস্তবায়নে সবার আগে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমি চাইলে হবে না। আমি নিজেও আমার রোগীদের বলে থাকি, জটিল কোনো সমস্যা না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে না যেতে। কারণ সাধারণ সমস্যার জন্য এমবিবিএস চিকিৎসকই যথেষ্ট। কিন্তু আমাদের সবারই চহিদা যেহেতু সবেচেয়ে ভালোর দিকে যাওয়া এবং সবচেয়ে ভালো চিকিৎসকের কাছে যেতে যেহেতু কোনো বাঁধা নেই তাই মানুষ সেদিকেই যায়। জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের অনেকেই অধিক রোগীর চাপ সামলাতে পারছেন না। একজন জটিল রোগীকে একটু বেশি সময় নিয়ে দেখা দরকার, কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর চাপে তিনি সেটা পারছেন না। কাজেই পুরো পদ্ধতিটা সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করা গেলে এ সমস্যার সমাধান হবে, এজন্য সরকারকেই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হবে। রোগীর চাপ এড়াতে চিকিৎসক হয়তো একজন সাধারণ মানুষকে ফেরৎ পাঠাতে পারেন, কিন্তু বিশেষ শ্রেণীর কাউকে তো তার পক্ষে পাঠানো সম্ভব হয় না। সুতরাং শুধুমাত্র সরকারই পারে এ সমস্যার সমাধান করতে।

এসএস/এমইউ

 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : অধ্যাপক ডা. মো. আরিফ মোর্শেদ খান
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক