পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ বেডে উন্নীত করার দাবি
মেডিভয়েস রিপোর্ট: প্রতি মাসে শতাধিক স্বাভাবিক প্রসব, সিজারিয়ান অপারেশন, নিরাপদ ব্লাড ট্রান্সফিউশন, নবজাতকের বিশেষায়িত ইউনিটে (এনএসইউ) সেবা প্রদান ও আলট্রাসাউন্ড সেবা প্রদান করছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সকল চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করছে সমুদ্রপাড়ের এই প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি।
সাফল্যের পেছনের গল্প জানতে চাইলে শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে ইউএইচএফপিও ডা. মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রত্যেক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতিনিয়ত তদারকি করা হয়। এ ছাড়া তাদের প্রতিটা কাজের জন্য প্রশংসামূলক পত্র দেওয়া হয়। প্রত্যেক মাসে নার্সদের তদারকি করার জন্য একজন চিকিৎসক এবং চিকিৎসকদের তদারকির জন্য একজন আবাসিক চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ তত্তাবধানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নরমাল প্রসবের সময় একজন জুনিয়র মেডিকেল অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। মায়েদেরকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটে ঢুকা থেকে সন্তান প্রসব পর্যন্ত একজন মিডওয়াইফ অথবা নার্স সাথে থাকে। অর্থাৎ গর্ভবতী মা কখনো একা থাকেন না। ইমার্জেন্সিতে গর্ভবতী মায়েদের দেখার জন্য আলাদা লাইন রয়েছে। প্রসূতি মায়েদের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রীর ব্যবস্থা রয়েছে।’
ইউএইচএফপিও আরও বলেন, ‘সবাই যেন হোম ডেলিভারি না করে সরকারি হাসপাতালের সেবা গ্রহণ করে, এজন্য প্রতটি ইউনিয়নে ধাতৃ সমাবেশ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আলট্রাসাউন্ড করার ব্যবস্থাও আমাদের হাসপাতালে রয়েছে। ডেলিভারি রোগীদের জন্য আলাদা একটা ওয়ার্ড ও দুটি কেবিনের ব্যবস্থা আছে।’
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ বেডে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ বেডের এবং জনবলও ৩১ বেডের হিসেবেই রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন ৭০-৮০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। যদি এটি ৫০ বেডে উন্নীত করা যায় তাহলে সেবার মান আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।’
এসএস/এএইচ