১৭ মার্চ, ২০২৩ ০৯:২১ এএম

চমেকে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ৭ জন বহিষ্কার

চমেকে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ৭ জন বহিষ্কার
সাতজনের মধ্যে ছয়জন এর আগেও বহিষ্কৃত হয়েছিল।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ৬২তম ব্যাচের চার শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের সাত নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে চমেক কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া বলে জানা গেছে। এই সাতজনের মধ্যে ছয়জন এর আগেও বহিষ্কৃত হয়েছিল।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে চমেক ৫৯ ব্যাচের অভিজিৎ দাশকে তিন বছরের জন্য কলেজের যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ৫৯তম ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম, ৬২তম ব্যাচের সাজু দাশ ও একই ব্যাচের সৌরভ দেবনাথকে। দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম খলিলকে। ইব্রাহিম খলিল ছাড়া বাকিদের আগেও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিছু দিন পর তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি মওকুফ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মধ্য রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রবাসে ৬২তম ব্যাচের চার শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

নির্যাতনে আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- চমেকের ৬২তম ব্যাচের এম এ রায়হান, মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র, জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল এবং সাকিব হোসেন। এর মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে তখন কলেজ অধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিএমইউ) ডিন অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার মেডিভয়েসকে বলেছেন, ‘চার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। সেই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পড়াশোনা চালিয়ে যেতেও সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী নিগ্রহের বিষয়টি আমরা হালকাভাবে নেইনি। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করেছি। অভিযুক্ত ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে কমিটির সদস্যরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। কমিটির রিপোর্ট পেলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে দ্রুততার সঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা দেখতে পাবেন।’

দণ্ডের মাত্রা সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলের সম্মানিত সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তাই বাস্তবায়ন করা হবে। সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে ক্যাম্পাস শান্ত রাখার ব্যবস্থা করা হবে। দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রয়েছে, যা সব মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। এখনো আমরা সফল হবো। এ ব্যাপারে শিক্ষকবৃন্দ আমাকে ব্যাপক সহযোগিতা করছেন। কমিটিতে থাকা জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা পর্যন্ত ওদের সঙ্গে কথা অব্যাহত রেখেছেন। ইনশাল্লাহ আমরা এ পরিস্থিতি উৎরে যাবো।’

এসএস/এমইউ

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
২৭তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস 

স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই হোক বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অঙ্গীকার

২৭তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস 

স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই হোক বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অঙ্গীকার

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত