২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৭:৫৯ পিএম

'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় লক্ষ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না'

'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের  আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়  লক্ষ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না'
বিএমএ সভাপতি বলেন, ‘চিকিৎসকদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে আমি আগে থেকেই সোচ্চার ছিলাম, এখনো আছি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। দলের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চান রাজনীতিতে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পাওয়া ত্যাগী এ নেতা। মেডিভয়েসের সাথে একান্ত আলাপকালে রাজনীতি ও স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বিস্তর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মনে ও অনুভূতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা এ চিকিৎসক নেতা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাহেদুজ্জামান সাকিব। 

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা অঙ্গীকারবদ্ধ

জানতে চাইলে ডা. মোস্তফা জালাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলের সর্বোচ্চ জায়গায় সদস্য বানিয়েছেন এজন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং মাননীয় নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আমি ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছি এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পোস্টে দায়িত্ব পালন করে আজকে এ জায়গায় এসেছি। অদিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সামনে আমাদের দলের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে মানুষের মুখে মুখে যে শ্লোগান ‘বারবার দরকার, শেখ হাসিনার সরকার’ এটাকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। সে দৃষ্টিকোণ থেকে আমার দিক থেকে সবরকমের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার নেত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক যখন যেখানে আমাকে কাজ করতে বলবেন অদিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য আমি কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

আস্থার প্রতিদান দিতে চান আজীবন

তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে বাছাই করেছেন। আমি ছাত্রজীবন থেকেই মুজিব আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত। একজন কর্মী হিসেবে আমি মনে করি আমার অতীত রাজনীতি যাচাই-বাছাই করে নেত্রী আমাকে এ পদে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সকল অবস্থা থেকে দলের জন্য কাজ করে নেত্রীর আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাওয়ার যাওয়ার চেষ্টা করবো।’

স্বাস্থ্যখাতে সামগ্রীক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি

বিএমএ সভাপতি বলেন, ‘চিকিৎসকদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে আমি আগে থেকেই সোচ্চার ছিলাম, এখনো আছি। আমার মনে হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আমরা অদিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে পারছি না। আমি নেত্রীর পরামর্শে মন্ত্রণালয়ের যারা দায়িত্বে আছেন তাদের মাধ্যমে সমস্যাগুলো উত্তরনের চেষ্টা করবো। তবে কারও কোনো অন্যায় আবদার কিংবা ব্যক্তিগত কোনো কাজের জন্য সহযোগী হবো না। সামগ্রীকভাবে দেশের জন্য ও স্বাস্থখাতের জন্য যা করলে ভালো হবে সে পরামর্শ আমি নেত্রীকে দেবো, সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার উনি নিবেন। আমি বিশ্বাস করি আমাদের কথা নেত্রী উপলব্ধি করতে পারেন।’

পদোন্নতি পেয়েছেন ধাপে ধাপে

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি, এরপরে সভাপতি হয়েছি। আওয়ামী লীগের সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলাম, ১৯৯২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা জনসংখ্যা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মনোনীত হয়েছি এবং সর্বশেষ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মনোনীত হলাম। মাননীয় নেত্রী আমাদেরকে ধাপে ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করান এজন্য আমি অনেক খুশি।’

রাজনীতির জন্য স্বেচ্ছায় অবসর নেন চাকুরি থেকে

ডা. মোস্তফা জালাল বলেন, ‘আমি এমবিবিএস শেষ করে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিছুদিন চাকরি করার পর চাকুরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কাজ করা শুরু করি। আমি এরশাদের সময় প্রায় একবছর তিনমাস জেলে ছিলাম, জিয়াউর রহমানের সময় ছিলাম সাতদিন। আমার মনে ও অনুভূতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং বর্তমানে তার কন্যা শেখ হাসিনার সাথে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই।’

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত