ইউনিভার্সেল মেডিকেলে দাওয়াহ সোসাইটির বোনস ব্যাংকের যাত্রা শুরু

মেডিভয়েস রিপোর্ট: ইউনিভার্সেল মেডিকেল দাওয়াহ সোসাইটি প্রথমবারের মতো বোনস ব্যাংকের যাত্রা শুরু করেছে। সংগঠনটি ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ছয় জন শিক্ষার্থীদের মাঝে বোনস বিতরণ করেছে।
আজ শুক্রবার (৪ জুন) কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের (ব্যাচ-১১) মাঝে এ-বোনস বিতরণ করা হয়। এ বছর আরও চারজনের মধ্যে বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী হালাল ও হারামের সীমানা বজায় রেখে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে চায় দাওয়াহ সোসাইটি। বিশেষ করে সরকার নির্ধারিত দরিদ্র ও মেধাবী কোটা ভিত্তিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা করাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়াও, মেডিকেল শিক্ষাঙ্গনে ইসলামী নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও বাস্তবচর্চার বিস্তার ঘটানো।
দাওয়াহ সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমবারের উদ্যোগ হিসেবে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছে বোন্স ব্যাংক। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। নবাগত ইউএমসি-১১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও বোন্স ব্যাংক সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং সেচ্ছায় এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছে।
এ উদ্যোগে অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত, সময়সীমা ও আমানতের নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে। যথাযথ যাচাই-বাছাই ও আস্থাশীল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বোনস প্রদান করা হয়েছে।
অনেক শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফুল সেট বোন্স ডোনেট করেছেন, যা উদ্যোগটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। আয়োজকদের বিশ্বাস, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
দাওয়াহ সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই উদ্যোগ শুধু একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা নয়, বরং মানবদেহের প্রতি সম্মান প্রদর্শনেরও এক বাস্তব প্রয়াস। বর্তমান সময়ে বোন্স কেনা-বেচার নামে অসৎ চক্রের দৌরাত্ম্য, প্রতারণা ও মানবিক মূল্যবোধহীন কার্যক্রমের প্রতিবাদ হিসেবেও এ উদ্যোগ একটি বার্তা পৌঁছে দেবে বলে তারা আশাবাদী।
‘মানব শরীর আল্লাহর সৃষ্টি; জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায়ই এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ রয়েছে ইসলামে। সেই মর্যাদার লঙ্ঘন করে হাড়ের অবৈধ ব্যবসা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও মানবতাবিরোধী,’—এমন মন্তব্য এসেছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
বোন্স ব্যাংককে একটি ধারাবাহিক ও স্বনির্ভর চেইনে রূপ দিতে চায় আয়োজক দল। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে, আরও শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা।