বিসিপিএসকে পরিগণ্য বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোর আধুনিকায়নে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) ও জাতীয় বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক ও একাডেমিক পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। সুপারিশে বিসিপিএসকে পরিগণ্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা প্রয়োজন। এতে প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বাধীনতা পাবে বলে মনে করছে কমিশনটি।
গত ৫ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ৩২টি প্রধান সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন তুলে ধরে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।
প্রতিবেদনের চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কার (স্বল্প ও মধ্য-মেয়াদী) প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিসিপিএসকে পরিগণ্য (স্বীকৃত) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা প্রয়োজন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব একাডেমিক কাঠামোর মাধ্যমে ডিগ্রি প্রদান, গবেষণা উন্নয়ন এবং চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বাধীনতা পাবে।
এছাড়া, বিসিপিএস কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে প্রতিটি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ শাখার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় পেশাগত অন্তর্ভুক্তি এবং বহুমাত্রিকতা বজায় থাকবে বলে মনে করছে কমিশন।
এই কাঠামোর আওতায় বিসিপিএসের প্রতিটি ফ্যাকাল্টিকে উপ-কলেজে রূপান্তরের প্রস্তাব এসেছে কমিশনের খসড়ায়। এসব উপ-কলেজ একাডেমিক স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তিতে নিজস্ব পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, প্রশ্ন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণা সমন্বয়ের কাজ পরিচালনা করবে। এতে বিসিপিএস চিকিৎসা শিক্ষায় গুণগত উৎকর্ষে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারবে।
বিসিপিএস ছাড়াও জাতীয় বিশেষায়িত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও স্বায়ত্তশাসিত কাঠামোর আওতায় পরিচালনার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। এই তালিকায় রয়েছে—জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট, জাতীয় মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, জাতীয় প্রজনন স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, জাতীয় শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিটিউট, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা ইনস্টিটিউট (নিপসম)।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে কমিশন প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায় নিয়োগের সুপারিশ করেছে। এতে প্রশাসনিক জটিলতা কমে কার্যকরতা বাড়বে বলে মনে করছে কমিশন।
টিআই/এনএআর/
-
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
-
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪