১০ জুন, ২০২৪ ০৯:৪২ পিএম
বিএফএসএর গবেষণা

চটপটিসহ রাজধানীর ছয় স্ট্রিট ফুডে অতিরিক্ত জীবাণু

চটপটিসহ রাজধানীর ছয় স্ট্রিট ফুডে অতিরিক্ত জীবাণু
ছবি: সংগৃহীত

মেডিভয়েস রিপোর্ট: রাজধানী ঢাকার প্লেট প্রতি চটপটিতে পাওয়া গেছে ৭ কোটি ২০ লাখ এশেরিকিয়া কোলাই (ই-কোলাই) জীবাণু। সালমোনেলা এসপিপি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সাড়ে ৭০০, আর সাড়ে ৭০০ রয়েছে ভিব্রিও এসপিপি ব্যাকটেরিয়া।

শুধু চটপটি নয়, ঢাকার ছয়টি স্ট্রিট ফুডে এমন ভয়াবহ পরিমাণে জীবাণুর সন্ধান মিলেছে। এসব জীবাণু ডায়রিয়াসহ পেটের অসুস্থতার জন্য দায়ী। অপর পাঁচটি হচ্ছে ছোলামুড়ি, স্যান্ডউইচ, আখের রস, অ্যালোভেরা শরবত ও মিক্সড সালাদ।

গতকাল রোববার (৯ জুন) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) গবেষণার ফল অবহিতকরণ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড নিউট্রেশন অ্যান্ড এগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. মো. লতিফুল বারি। বিএফএসএর প্রশিক্ষণ কক্ষে এ গবেষণা ফল তুলে ধরা হয়। বিএফএসএর অর্থায়নে মো. লতিফুল বারি ও তার দল এ গবেষণা করেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭টি জোন থেকে এসব স্ট্রিট ফুডের ৪৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

গবেষণার ফলে দেখা যায়, গড়ে প্রতি প্লেট চটপটিতে ৭ কোটি ২০ লাখ ই-কোলাই, সাড়ে ৭০০ সালমোনেলা ও সাড়ে ৭০০ ভিব্রিও ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। ছোলামুড়িতে ই-কোলাই পাওয়া গেছে সাড়ে ৭ লাখ ৪০ হাজার, সালমোনেলা ২ হাজার ও ভিব্রিও ৩০ লাখ। স্যান্ডউইচে ই-কোলাই পাওয়া গেছে ২ হাজার, সালমোনেলা ২ হাজার ও ভিব্রিও ১ কোটি ৬০ হাজার। আখের রসে ই-কোলাই পাওয়া গেছে ৬৫ হাজার, সালমোনেলা ১৭ হাজার ও ভিব্রিও ১৩ হাজার। অ্যালোভেরা সরবতে ই-কোলাই পাওয়া গেছে ৫৬ হাজার, সালমোনেলা ১৮ লাখ ও ভিব্রিও ১৪ হাজার। মিক্স সালাদে ই-কোলাই পাওয়া গেছে ১ হাজার ৮০০, সালমোনেলা ৫১০ ও ভিব্রিও ৩০০।

তবে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ এত বেশি হলেও এতে অসুস্থতার হার খুব কম। গবেষণার তথ্যে দেখা গেছে, এসব স্ট্রিট ফুড খেয়ে প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার কারণে দুজন, সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার কারণে চারজন ও ভিব্রিও ব্যাকটেরিয়ার কারণে মাত্র একজন অসুস্থ হচ্ছে।

গবেষণা দলের প্রধান মো. লতিফুল বারি বলেন, ‘দূষিত পানি, নোংরা গামছা, অপরিষ্কার হাত, ধুলাবালিময় পরিবেশের কারণে এ ধরনের জীবাণু খাবারে মিশে যাচ্ছে। বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সম্পর্কে জ্ঞান ও ধারণা কম থাকায় খাবার ও জুসে জীবাণু ঢুকে যাচ্ছে।’

তবে মানুষ কেন অসুস্থ হচ্ছে না তা জানাতে পারেননি এই গবেষক। এ সময় স্ট্রিট ফুড নিরাপদ করতে বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ ও প্রতিদিন মনিটরিং করার ওপর জোর দেন তিনি।

বিএফএসএ চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফএসএর সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ও সদস্য (খাদ্য শিল্প ও উৎপাদন) ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

এনএআর/

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’

১৭ জানুয়ারি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা, বিডিএস ২৮ ফেব্রুয়ারি

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক