মাইগ্রেনের চিকিৎসায় ম্যাগনেসিয়াম
মাইগ্রেনের চিকিৎসায় বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যেসব ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে! তাই বহুদিন ধরে চেষ্টা করা হচ্ছে, এমন কোন ওষুধ আবিষ্কারের, যার তেমন কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই এবং যেটা নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ রকম ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তারপরও গবেষণা চলছে। হয়তো কোনদিন আবিষ্কার হলেও হতে পারে।
বর্তমানে ম্যাগনেসিয়াম নিয়ে বিজ্ঞানীরা আশার আলো দেখছেন। প্রতিদিন সাধারণত ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম ব্যবহার করলে মাইগ্রেনের হাত থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকা যায়।
তবে এই ওষুধের একটি পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে। এই ওষুধ খেলে কিন্তু ডায়রিয়া হতে পারে। তাই যাদের কনস্টিপেশনের সমস্যা আছে, তারা নির্দ্বিধায় এটি গ্রহণ করতে পারেন। তবে যাদের ডায়রিয়ার সমস্যা হয়, তাদের ক্ষেত্রে ডোজ কমিয়ে দিতে হবে।
ম্যাগনেসিয়ামের একটি সুবিধা হচ্ছে, এটা গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যায়। মাইগ্রেনের অনেক ওষুধ আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু ম্যাগনেসিয়াম গর্ভাবস্থায় নিরাপদে ব্যবহার করা যায়।
মাসিকের সাথে মাইগ্রেনের একটা সম্পর্ক আছে। মাসিকের সময় আসলে অনেকের মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম বেশ উপকারী। মাসিকের সময় যাদের মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যায়, তারা ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে এই সময় তারা মাইগ্রেনের হাত থেকে অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন।
যদিও বছর দশেক আগে থেকেই আমেরিকান হেডেক সোসাইটি ম্যাগনেসিয়াম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে আসছে মাইগ্রেনের প্রতিরোধের জন্য। এর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অন্যান্য প্রতিরোধক ওষুধের সাথে এটি সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের দাম তেমন বেশি নয়। ম্যাগনেসিয়াম ট্যাবলেটও বর্তমানে পাওয়া যায়। এই দামও কিন্তু খুব বেশি নয়।
তাই যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তারা এই জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। তবে নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া শুরু করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসা শুরুর আগে একজন নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেবেন। তারপরে শুরু করবেন।
যেসব খাবারে ম্যাগনেসিয়াম
বিভিন্ন খাবারের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম বেশি পাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে মিষ্টি কুমড়া, বাদাম, তেতুল, আলু, কমলা, কলা, আনারস এবং তরমুজ। সুতরাং এসব খাবার যাদের মাইগ্রেন আছে তারা বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে পারেন। তাতে কিন্তু অনেকটা তারা ভালো থাকতে পারবেন।
এএনএম/