
ডা. শরীফ উদ্দিন
এমবিবিএস (সিএমসি), সিসিডি (বারডেম) ডি-অর্থো (নিটোর),
হাড়-জোড়া, বাত ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন
২২ জুন, ২০২৩ ০১:৪০ পিএম
মা-নবজাতকের মৃত্যু: ডা. মুনার মুক্তি হোক, দোষীদের সুষ্ঠু বিচার

সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, সংবাদ সম্মেলনে বড় বড় কথা বলছেন, একে অপরের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।
অবস্থাদৃষ্টে আঁচ করা যাচ্ছে, কারো শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না। কিন্তু কোনো রকম তদন্ত ছাড়া, আগপাশ বিবেচনা না করেই মিডিয়া ট্রায়ালের পরিপ্রেক্ষিতে দুজন জুনিয়র ডাক্তার কারাবন্দি হয়ে গেলেন। এর মধ্যে ডা. শাহজাদি দীর্ঘদিন ডা. সংযুক্তা সাহার সহকারী হিসেবে কাজ করলেও ডা. মুনা সাহা স্রেফ সেন্ট্রাল হাসপাতালের একজন ডিউটি ডাক্তার, যিনি কিনা ৮ ঘণ্টার ডিউটি করে হাজার খানেক টাকা পেতেন প্রতিদিন।
এই যে ডা. সংযুক্তা সাহা এবং সেন্ট্রাল হাসপাতাল মিলে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করলেও ডা. মুনা সাহা একজন ডিউটি ডাক্তার হিসেবে প্রতিদিন এক হাজার টাকার বেশি পেতেন না। কিন্তু মাহবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসাজনিত যে ট্র্যাজেডির জন্ম হলো, তার অন্যতম বলির পাঠা হয়ে যাচ্ছেন ডা. মুনা।
সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের রক্ষা করার জন্য সেদিনের ঘটনার পর মিটিংয়ের কথা বলে ডা. শাহজাদি এবং ডা. মুনাকে ডেকে আনে। তারা হাসপাতালে উপস্থিত হওয়ার পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এই যে এতো এতো ফেসবুক আলোচনা, টকশো, পত্রিকার জ্বালাময়ী সম্পাদকীয়—কোথাও এই আলোচনাটা নেই যে, ডা. মুনা সাহার আসলে কোনো দোষ ছিল কিনা?
একটা দেশে সুষ্ঠু বিচারব্যবস্থা, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বা সামষ্টিক বিবেকবোধ যদি ঠিক না থাকে, কেবলমাত্র স্বাস্থ ব্যবস্থা ঠিক থাকবে—এই আশা করাটা বোকামি।
স্বাস্থ্যব্যবস্থাসহ সকল সেক্টরে সব ধরনের নৈরাজ্য বন্ধ হোক। ডা. মুনা সাহা মুক্তি পাক। দোষীরা সুষ্ঠু বিচারের মুখোমুখি হোক।
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
১১ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুলাই, ২০২৩

দ্য বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের কর্মশালা
আসক্তি ভুলে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগের আহ্বান
দ্য বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের কর্মশালা
আসক্তি ভুলে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগের আহ্বান
