২৪ নভেম্বর, ২০২২ ১০:২৭ এএম

‘অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে বাড়াতে হবে টিকার ব্যবহার’

‘অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে বাড়াতে হবে টিকার ব্যবহার’
অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝোরা বলেন, গত শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর একটি হলো অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু আমাদের অযাচিত ব্যবহারের ফলে আজকে তা অকার্যকর হতে চলেছে।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: সারাবিশ্বে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা কমে আসছে। দীর্ঘদিন নতুন কোনো গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হয়নি। ইচ্ছানুসারে ব্যবহারের ফলে কার্যকারিতা হারাচ্ছে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলো। ফলে ভয়াবহতম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ব। অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে টিকার ব্যবহার বাড়ানো ও প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করার সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে নজর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্টস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্টস’র সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝোরা বলেন, গত শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক অন্যতম। কিন্তু এটি যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে বর্তমানে তা অকার্যকর হতে চলেছে।

তিনি বলেন, এএমআর নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারকারী সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের চিত্র সবার সামনে তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, এ সংক্রান্ত কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দেশের পরিস্থিতি আফ্রিকার চেয়েও খারাপ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এএমআর প্রতিরোধে গঠিত ওয়ান হেলথ এএমআর বৈশ্বিক প্ল্যাটফরমের কো-চেয়ার। সেই দায়িত্বশীলতার জায়গা হতে সবাই ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

সেমিনারে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব হাবিব বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রোধে নজরদারি বাড়াতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ভ্যাকসিনের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক ভ্যাকসিন রয়েছে।’ এ ছাড়া দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। আর অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শতাধিক মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্ট এই সেমিনারে অংশ নেন।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক