শ্রবণ ঝুঁকিতে বিশ্বের ১১০ কোটি তরুণ

মেডিভয়েস রিপোর্ট: শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা ৬০ ডেসিবেল। শব্দ এর চেয়ে বেশি হলে তা কানের স্বাস্থ্যে জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনিরাপদ শ্রবণে অভ্যস্ততার কারণে বিশ্বে ১১০ কোটি তরুণ শ্রবণ ঝুঁকিতে রয়েছে। কানের সঙ্গে গলার সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। না শোনার কারণে বহু মানুষ কথা বলতে পারেন না।
বিশ্ব শ্রবণ দিবস-২০২২ উপলক্ষে আজ বুধবার (২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ব্লকে এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা কমাতে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
শ্রবণে সমস্যার জন্য অনেক সময় সংসার ভেঙে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দিবসটি পালিত হচ্ছে। শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা ৬০ ডেসিবেল। এর চেয়ে বেশি শব্দ আমাদের জন্য অসহনীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকে এ রোগে সুরক্ষা নিশ্চিত করা গেলে জীবনটি সুন্দর করে বাঁচতে পারবে। প্রত্যেকে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কমিয়ে আনা সম্ভব।
বিশ্বে ১১০ কোটি তরুণ শ্রবণ ঝুঁকিতে রয়েছে জানিয়ে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিটি শিশুর শ্রবণ শক্তি যেন সঠিক মাত্রায় থাকে, এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশে সোসাইটি অব অটোলজির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, এ আলোচনা সভার মূল আবেদন হলো মানুষকে সচেতন করে তোলা। এই সচেতনতা তৈরিতে চিকিৎসকদেরই ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্ব শ্রবণ দিবসের মাধ্যমে সবাইকে সচেতনত করে তুলতে হবে। শব্দদূষণ আমাদের কানকে অকেজো করে দিচ্ছে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতা। এই সচেতনতা তৈরিতে সকলকেই ভূমিকা রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে হেডফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আজহারুল ইসলাম।
একই বিভাগের অধ্যাপক ডা. জহুরুল হক বলেন, কানে না শোনার কারণে বহু মানুষ কথা বলতে পারে না। কানের সঙ্গে গলার সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ সময় এয়ার ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
