বাসায় ফেরা হলো না নার্স শাহনাজ পারভীন প্রিয়তার
মেডিভয়েস রিপোর্ট: রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মস্থল বসুরহাট মডার্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন নার্স শাহনাজ পারভীন প্রিয়তা। রাতে ডিউটি শেষে বাসায় ফিরেননি। পরদিন লাশ পাওয়া গেল ধান ক্ষেতে। এমন ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে।
এ ঘটনায় সোমাবার (২৮ ফ্রেব্রুয়ারি) নিহত শাহনাজ পারভীন প্রিয়তার বাবা বাদী হয়ে কোম্পানিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মিজানুর রহমান মেডিভয়েসকে বলেন, ভিকটিমের বাবা গতকাল রাতে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের একটি দল তদন্তে নেমেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের রয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহত শাহনাজ কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নুরনবীর মেয়ে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ সরকারি মুজিব কলেজ থেকে অনার্স পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং বসুরহাট মডার্ন প্রাইভেট হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টায় হাসপাতালে ডিউটিতে যান শাহনাজ। রাত ৮টায় বাসায় আর ফিরেননি তিনি। সাথে থাকা মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তার নানার বাড়ির পাশের একটি ধান ক্ষেতে শাহানাজ পারভীন প্রিয়তার লাশ পাওয়া যায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রিয়তা পড়ালেখার পাশাপাশি বসুরহাট মডার্ন হাসপাতালে নার্সের চাকরি করত। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তার ডিউটি ছিল। সোমবার রাত ৮টার পরে বাসায় ফিরেননি তিনি। এরপর প্রিয়তার মামী তাকে ফোনে দিলে বন্ধ পান। তিনি ভাবেন ওইদিন হয়তো সে (প্রিয়তা) আর আসবে না। কারণ, প্রিয়তা হাসপাতালের মেয়েদের সাথে মাঝে মাঝে একটি বাসায় থাকতো। আবার নানার বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রায় সে নানার বাড়িতেও থাকতো।
কোম্পানীঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রতন মিয়া জানান, নিহত যুবতীর মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার শরীরে আরো আঘাতের চিহ্ন থাকতে পারে।