২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৫:৪৪ পিএম

গ্লুকোমা চিকিৎসায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বয় করতে চাই

গ্লুকোমা চিকিৎসায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বয় করতে চাই
অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির বলেন, বেসরকারি হাসাপাতালগুলোতে আন্তর্জাতিক অনেক এনজিও ডোনার রয়েছে। গ্লুকোমা বিভাগ চালু করা গেলে সেখানেও গ্লুকোমার সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

চোখের রোগের চিকিৎসায় দেশে যে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের নাম আসে, তাঁদের অন্যতম জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের গ্লুকোমা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির। রোগী সেবা ও গবেষণার পাশাপাশি নেতৃত্ব গুণেও সমুজ্জ্বল এ চিকিৎসক। এরই কল্যাণে আগামী দুই বছরের জন্য চক্ষু চিকিৎসকদের অন্যতম সংগঠন গ্লুকোমা সোসাইটির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মেডিভয়েস মুখোমুখি হয় প্রখ্যাত এ চক্ষু বিষেশজ্ঞের। জানান, নিজের মেয়াদে সোসাইটিকে ঘিরে তার স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথা। মেডিভয়েস পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো কথোপকথনের চুম্বক অংশ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ওমর ফারুক ফাহিম।

মেডিভয়েস: গ্লুকোমা সোসাইটির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের মহাসচিব নির্বাচত হয়েছেন, আপনার অনুভূতি জানতে চাই। 

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির: মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ায় আমি অবশ্যই আনন্দিত। এর মাধ্যমে আমার উপর একটি বিরাট দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। কতটা দায়িত্ব পালন করতে পারবো, সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত। তবে অন্যান্য সদস্য ও উপদেষ্টাদের সহযোগিতায় সোসাইটির কার্যক্রমকে ইনশাআল্লাহ আগামীতে এগিয়ে নিতে পারবো বলে আশা করি।
 
মেডিভয়েস: গ্লুকোমা সোসাইটি কখন, কি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির: মূলত আমাদের সংগঠন ছিল অফথালমোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি), চক্ষু চিকিৎসকদের এটি মূল সংগঠন। আমাদের চোখের চিকিৎসায় সাব স্পেশালিটিগুলো যখন উন্নত হয়; তখন রেটিনা, গ্লুকোমা ও কর্নিয়াসহ—এ রকম আরও সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গ্লুকোমা হচ্ছে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বের দ্বিতীয় কারণ। এজন্য এটি নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই প্রায় ১৫ বছর পূর্বে গ্লকোমা সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
 
মেডিভয়েস: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পথে কতটা অগ্রসর হতে পেরেছে সোসাইটি? 

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির: আসলে গ্লুকোমা সোসাইটি অন্যান্য সোসাইটিগুলো থেকে একটু ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান। আমাদের প্রথমত দুটি লক্ষ্য ছিল। প্রথমত, গ্লুকোমা প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সে হিসেবে আমরা বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস এবং গ্লুকোমা সপ্তাহ পালন করে থাকি এবং আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় গ্লুকোমা সম্বন্ধে বিভিন্ন আর্টিকেল প্রকাশ ও বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে থাকেন, যাতে জনগণ গ্লুকোমা সম্পর্কে জানতে পারে। দ্বিতীয়ত, সোসাইটির সদস্যদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা আরো বৃদ্ধি করা। এ ক্ষেত্রে শুধু সোসাইটির সদস্য নয়, বরং সকল চক্ষু বিশেষজ্ঞরা যাতে গ্লুকোমা সম্বন্ধে জানতে পারে সে জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম; বিশেষ করে প্রতি বছর একটি বাৎসরিক কনফারেন্স গুরুত্বের সঙ্গে করে থাকি। এই কনফারেন্সে আমরা সারাপৃথিবীর নামিদামি গ্লকোমা বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানাই। যেখানে আমাদের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন এবং এর মাধ্যমে গ্লুকোমার চিকিৎসায় পৃথিবীজুড়ে কোথায় কি ধরনের টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে, কি ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে, তা সহজেই জানতে পারি। এই প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে আমাদের জ্ঞানের পরিধি এবং দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত এই দুটি উদ্দেশ্যে আমাদের সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

তবে সম্প্রতি আমরা একটি যুগান্তকারী কাজ করছি। সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশে কি পরিমাণ গ্লুকোমা রোগী রয়েছে, এই পরিসংখ্যান প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। এর পূর্বেও এ রকম একটি কাজ হয়েছিল, তবে সেটি স্বল্প পরিসরে। এবার আমরা সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাদের সম্মানিত উপদেষ্টা অধ্যাপক এমএ মান্নান সাহেবের নেতৃত্বে এটি করে যাচ্ছি। এটি সম্পন্ন হলে আমাদের দেশে কত ধরনের গ্লুকোমা রয়েছে এর ধরন বের করতে পারবো এবং দেশে কোথায় গ্লুকোমা রোগীর সংখ্যা বেশি ও কোথায় কম সেটাও জানতে পারবো।

এটি সম্পন্ন হলে দেশে গ্লুকোমার চিকিৎসায় পরবর্তী করণীয় ও কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে পারবো। পরিসংখ্যানটি সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সোসাইটি ও এনজিওদের কাছে দেওয়া হবে। 
 
মেডিভয়েস: সোসাইটি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসে কতটুকু আলো ছড়াতে পেরেছে?

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির: আমাদের কাজগুলোতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি কিছুদিন পূর্বে একটি কাজে মাগুরা গিয়েছিলাম, যদিও করোনার মধ্যে মানুষ কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত ছিল, এরপরও তাদের অভাবনীয় সাড়ায় অভিভূত হয়েছি। আমাদের সোসাইটির সদস্যরা সেখানকার সাধারণ মানুষের গ্লুকোমা আছে কি-না সেটি যাচাই করার জন্য ১০০ জনকে কার্ড দিয়েছিল। দেখা গেছে, যাদেরকে কার্ড দেওয়া হয়েছিল তাদের শতভাগ নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট স্থানে হাজির হয়েছে। এ জন্য সারাদিন তারা সেখানে অবস্থান করেছিল, যা সত্যিই অকল্পনীয়। সাধারণ মানুষের এ রকম আগ্রহ দেখে তাদের জন্য কিছু করার বিষয়ে আমার উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। আমি মনে করি, অন্যান্য সোসাইটিগুলোও যদি এ রকম প্রোগ্রাম আয়োজন করে, তাহলে সে সব রোগেরও পরিসংখ্যান জানা সহজ হবে এবং এটি একটি যুগান্তকারী কাজ হবে।

মেডিভয়েস: মহাসচিব হিসেবে গ্লুকোমা সোসাইটি নিয়ে পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির: আসলে আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত কাজগুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করবো। আমরা বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ এবং গ্লুকোমা দিবসে যে কাজগুলো করে থাকি, এগুলোর ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো দরকার। বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক মফস্বল বা গ্রামে বাস করেন। কিন্তু আমাদের প্রচারণাগুলো অধিকাংশই শহরকেন্দ্রিক। আমরা যদি আমাদের কাজের ব্যাপ্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে কাজগুলো প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে তারা সেখান থেকেও গ্লুকোমার মতো বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে। এজন্য আমার কাজ হবে এগুলো আরও সম্প্রসারিত করা। গ্লুকোমা নিয়ে যে একটি জরিপের কার্যক্রম চলছে এটি একটি কঠিন কাজ। আমি চাইবো, এটি যেন আমার মেয়াদেই সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি। 

দ্বিতীয়ত, আমাদের সদস্যদের নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যে প্রোগ্রামগুলো হয়ে থাকে, বিশেষ করে সিএমই প্রোগ্রাম ও বার্ষিক কনফারেন্সগুলো করোনা পরিস্থিতির কারণে সশরীরে করা সম্ভব না হলেও অনলাইনে করা। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ততা কিভাবে আরও বাড়ানো যায় সেদিকেও লক্ষ রাখবো।

আমি একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বলতে পারি, গ্লুকোমা চিকিৎসার যন্ত্রপাতি অনেক ব্যয়বহুল। সরকার মেডিকেল খাতে অগ্রগতির জন্য অনেক ভূমিকা পালন করেছে। তবে সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। আমি সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করবো। বেসরকারি যেসব হাসাপাতাল রয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক অনেক এনজিও ডোনারও রয়েছে। তাদের মাধ্যমে যদি প্রাইভেট হাসাপাতালগুলোতে গ্লুকোমা বিভাগ চালু করা যায়, যন্ত্রপাতি দেওয়া যায় এবং জনশক্তিদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তাহলে সেখানেও গ্লুকোমার সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। এই সম্পৃক্ততার মাধ্যমে গ্লুকোমার চিকিৎসা সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

মেডিভয়েস: প্রান্তিক জনোগোষ্ঠীর কাছে চিকিৎসা সেবা পৌছে দিতে আপনার পরিকল্পনা জানতে চাই। 

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির: সরকারি পর্যায়ে ন্যাশনাল আই কেয়ার নামে একটি প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে কম্পিউটার টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে একটি সেন্টার আছে। ভিডিও কানেকশনের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের বেজ সেন্টারে একজন গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ থাকেন এবং সেখানে গ্লুকোমা ডায়াগনোসিসের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও থাকে। সেখানে কর্মরত কর্মকর্তারা রুট লেভেল থেকে আসা রোগীর প্রয়োজনীয় ছবি ও ডাটা সংগ্রহ করে বেজ সেন্টার পাঠান। পরবর্তীতে সেগুলোর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে গ্লুকোমা ডায়াগনোসিস করা হয়।

আমি মনে করি, এ রকম ভিশন সেন্টার প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতেও করা সম্ভব। ভারতের তামিলনাড়ুতে এ রকম একটি প্রজেক্ট রয়েছে, যার মাধ্যমে একদম প্রান্তিক পর্যায়ে রোগীরা সেখান থেকে চিকিৎসা পাচ্ছে। আমরা যদি এ রকম একটি প্রকল্প আমাদের দেশেও করতে পারি, তাহলে শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে এ রোগের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

মেডিভয়েস: সোসাইটির সদস্যদের প্রতি বিশেষ কোনো বার্তা? 

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির: সোসাইটির সদস্যরা সবাই আমাদের যে কোনো কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস এবং গ্লুকোমা সপ্তাহে তারা প্রত্যেকেই অংশগ্রহণ করেন এবং একটি উৎসবমুখর পরিবেশে হয়ে থাকে। প্রতিটি হাসপাতাল এবং প্রতিটি সেন্টারে তারা স্ক্রিনিং প্রোগ্রামগুলো করেন, বিভিন্ন র‌্যালিগুলোতে অংশ নেন। এগুলোর মাধ্যে যারা এগুলো দেখেন, তারা গ্লুকোমা সম্বন্ধে আরও জানতে পারেন। আমি মনে করি, ভবিষ্যতে তাঁরা কার্যক্রমক অব্যাহত রাখবে। এর মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব গ্লুকোমাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
 
মেডিভয়েস: আপনার মেয়াদে প্রথম গ্লুকোমা সপ্তাহ ও দিবস উদযাপন নিয়ে পরিকল্পনা কী? 

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির: এটা নিয়ে আমরা প্রতি বছর সোসাইটির পক্ষ থেকে দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হাসপাতাল ও চোখের সেন্টারে সরকারি-বেসরকারি সবখানে চিঠি পাঠাবো। গ্লুকোমা সপ্তাহের যে কোনো একটি দিনে স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম করা, গ্লুকোমা সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সেমিনার করা। গণমাধ্যমের কাছে সচেতনতামূলক বক্তব্য তুলে ধরা। আমরা আশা করি, এই প্রোগ্রামগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যেমে গ্লুকোমাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।

বেড়ে উঠা

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনিরের জন্ম ও বেড়ে উঠা চাঁদপুরে। বাবার সরকারি চাকরি সুবাদে মাগুরা, কুষ্টিয়া ও সিলেটসহ দেশের বিভন্ন স্থানে পড়াশোনা করতে হয়েছে। মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্য্যালয় থেকে এসএসসি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।

এরপর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ছিলেন সিওমেকের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এর চক্ষু বিজ্ঞান বিষয়ে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) থেকে এফসিপিএস শেষ করে। এর পর গ্লুকোমা নিয়ে দিল্লির ভেনু আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার থেকে ফেলোশিপ করেন। তিনি বর্তমানে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গ্লুকোমা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।

 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
বিএসএমএমইউ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা

গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা গিতে গিয়ে ১৮ সমস্যার মুখোমুখি চিকিৎসকরা

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক