মধ্যআকাশে পাইলটের হার্টঅ্যাটাক, নাগপুরে জরুরি অবতরণ
মেডিভয়েস রিপোর্ট: মাস্কাট থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। পথে বিমানটির পাইলট হঠাৎ হার্টঅ্যাটাক করেন। তার অসুস্থতার বিষয়টি বুঝতে পেরে বিমানের সেকেন্ড পাইলট তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি অবতরণের জন্য কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফ্লাইটটি শুক্রবার ১১টা ৪০ মিনিটে ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে।
পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া পাইলটকে নাগপুরের হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্বাভাবিক।
অন্যদিকে সেকেন্ড পাইলটের সতর্কতায় বিমানটি অক্ষত রয়েছে। বিমানের সব যাত্রীও সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশের সিডিউল ফ্লাইট ‘বিজি ০২২’ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ওই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন।
বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মাসকাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ফেরার পথে ‘বিজি ০২২’ ফ্লাইটের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউম ভারতের রায়পুরের আকাশে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় জরুরি অবতরণের জন্য কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তারা নিকটতম নাগপুরে অবস্থিত ‘ড. বাবা সাহেব আম্বেদকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে’ অবতরণের পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি জরুরি অবতরণ করেন।
ফ্লাইটের সব যাত্রী সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। ইতোমধ্যে যাত্রীদের জন্য এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে খাবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে থাকা যাত্রীরা দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন।
পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউমকে নাগপুরের হোপ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
এদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দিল্লি অফিসের কান্ট্রি ম্যানেজারকে জরুরিভিত্তিতে যাত্রী, ক্রু ও ফ্লাইটের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে নাগপুরে পাঠানো হয়েছে।
আর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বিমানের সিডিউল ফ্লাইটের মাধ্যমে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দলকে নাগপুরে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে আজ রাতেই যাত্রীসহ ‘বিজি ০২২’ ফ্লাইটটি ঢাকায় এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছে বিমান বাংলাদেশ।