মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুইজনের স্বীকারোক্তি

মেডিভয়েস রিপোর্ট: ২০১৫ সলের মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের ঘটনার দুই আসামী পারভেজ খান (৩২) ও জাকির হাসান দিপু (৪০) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সিএমএম আদালতে হাজির করা হলে তারা তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম সদস্য জসিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে আবার পাঁচ দিন রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
সূত্রে জানা যায়, ছাপাখানা থেকে মেডিকেল ও ডেন্টালের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে ফাঁস করার মামলায় সাতদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আদালতে দুই আসামী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। মামলার অপর আসামী জসিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে পুনরায় পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২০ জুলাই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আটক জসিম উদ্দিনসহ তিনজনকে সাতদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এ সময় আসামি জসিমের কাছ থেকে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয় পত্র, ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে সিআইডি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ভর্তি পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে রাজপথে নেমে আসে মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ব্যাপকতা রাজধানী ঢাকা থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। তবে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকায় ওই সময় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। এ ঘটনায় দীর্ঘ তিন বছরের অনুসন্ধানের পর পুরো চক্র চিহ্নিত হওয়ায় আজ ২০ জুলাই এ মামলা দায়ের করে সিআইডি।
-
২০ ডিসেম্বর, ২০১৭
