২১ মে, ২০২০ ০৮:০৫ পিএম

করোনা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ১০০০ বেমসিভির ওষুধ হস্তান্তর বেক্সিমকোর

করোনা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ১০০০ বেমসিভির ওষুধ হস্তান্তর বেক্সিমকোর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ওষুধ হস্তান্তর করছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল’র এমডি নাজমুল হাসান পাপন

মেডিভয়েস রিপোর্ট: কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য ডোনেশন হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক হাজার রেমডিসিভির ওষুধ হস্তান্তর করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল। 

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ওষুধগুলো হস্তান্তর করেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম কোনো ওষুধ হস্তান্তর করায় বেক্সিমকো ফার্মাকে ধন্যবাদ জানান। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বহুদেশ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ থেকেও দেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ৬টি কোম্পনিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা ওষুধ প্রস্তুত করতে প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিয়েছে। এই ওষুধগুলো আরো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বাজারজাত করতে হবে। উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়া উৎপাদিত ওষুধগুলো এখনই বাজারজাত করা যাবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আরো অনেক ধরণের ওষুধের নাম চলে আসে। কিন্তু বাংলাদেশসহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশই শতভাগ কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’

প্রসঙ্গত, আমেরিকায় উৎপাদিত রেমডিসিভির ওষুধের ন্যায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃক উৎপাদিত ওষুধের নাম বেমসিভির করা হয়েছে। এই ওষুধ আপাতত সরকারি হাসপাতালসমূহে চিকিৎসারত ঝুকিপূর্ণ কোভিড-১৯ রোগীদের শরীরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশ করানো হতে পারে। একই সাথে এই ওষুধ এখনি বাজারজাত করা হবে না বলেও জানান বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমূল হাসান পাপন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর আব্দুল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, সিএমএইচডির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহিদুল্লাসহ  মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।  
 
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : করোনাভাইরাস
‘ছেলেরা কেন পিছিয়ে, কারণ অনুসন্ধান করুন’

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের গালমন্দ নয়: প্রধানমন্ত্রী

‘ছেলেরা কেন পিছিয়ে, কারণ অনুসন্ধান করুন’

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের গালমন্দ নয়: প্রধানমন্ত্রী

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত