০৩ জুলাই, ২০২৫ ০১:৩৪ পিএম
এক সঙ্গে হবে এনএস১, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষা

ডেঙ্গু শনাক্তে ১৯ হাজার কম্বো কিট দিলো চীন

ডেঙ্গু শনাক্তে ১৯ হাজার কম্বো কিট দিলো চীন
ছবি: সংগৃহীত

মেডিভয়েস রিপোর্ট: চীন সরকারের পক্ষ থেকে ১৯ হাজার কম্বো কিট দেওয়া হয়েছে। আরও কার্যকরভাবে ডেঙ্গু শনাক্তে সক্ষম এসব কিটে এক সঙ্গে এনএস১, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষা করা যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু কম্বো কিট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এগুলো হস্তান্তর করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি মিশন চিফ লিউ ইউইন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা.মো. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর হটস্পটগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স ও ডায়াগনস্টিক কিট পাঠানোসহ সবধরনের সহযোগিতা অতিদ্রুত পাঠাচ্ছে। এমনকি আজকে চীন সরকার যে ডেঙ্গু কিট দিলো সেটিও তারই অংশ।

স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী বলেন, ডেঙ্গুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভেক্টর প্রোগ্রাম। প্রাথমিক এই শনাক্তকরণ প্রোগ্রাম যখনই ব্যর্থ হতে থাকে অথবা মৌসুম পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালে রোগী বেড়ে যায়। এজন্য যে উৎসগুলোর কারণে এই পরিস্থিতি হচ্ছে সেখানে নজর দিতে হবে। যার যার দায়িত্ব সে পালন করলে শুধুমাত্র চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ পোহাতে হবে না। তবে ডেঙ্গু এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

তিনি বলেন, মুগদা হাসপাতালসহ আমরা বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। রোগী বেড়ে গেলে হয়তো কিছুটা কঠিন হবে, তবে যেসব নির্দেশনা সাধারণ মানুষকে পালনের জন্য দেওয়া হয়েছে, তা করতে পারলে রোগী ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।

বিশেষ সহকারী বলেন, 'বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ চারটি ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যার কারণে অনেকে সাধারণ রোগ ভেবে বাসায় থাকছেন। দেরিতে হাসপাতালে আসা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জটিল করে দিচ্ছে। আমরা মনে করি, শনাক্তকরণ কিট যথেষ্ট আছে, তারপরও সংকটের কিছু থাকলে আমরা সংগ্রহের ব্যবস্থা করছি। তবে সবার আগে দরকার মানুষের সচেতনতা, উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা করা ও চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া।'

সাইদুর রহমান বলেন, 'বিগত সময়ে স্বাস্থ্যখাত কখনো অগ্রাধিকারে ছিল না, কখনোই পাঁচে স্থান পায়নি। অন্তর্বর্তী সরকার স্বাস্থ্যকে সবজায়গায় গুরুত্ব দিচ্ছে। সেটি শুধু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নয়, আন্তর্জাতিক যেকোনো পর্যায়ের আলোচনায় হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে চীন সরকার ডেঙ্গুর কিট দিয়েছে। এটি সহযোগিতার ছোট্ট একটা অংশমাত্র। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও দৃশ্যমান হবে। এটি শুধু কতকগুলো কিট, ভ্যাকসিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য যে অবকাঠামো ও নীতিগত সম্প্রাসারণ দরকার, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এগুলো অল্প সময়ে দৃশ্যমান হয় না। তাদের সঙ্গে বড় ধরনের হাসপাতাল, ইলেক্ট্রো মেডিকেল ইক্যুইপমেস্ট প্ল্যান, ভ্যাকসিন সক্ষমতা গড়ে তোলা, রোবটিক্স যন্ত্রসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতার আলোচনা চলমান রয়েছে।

এমইউ/

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
স্বাস্থ্যের সকল প্রকল্প মূল কার্যক্রমে নিয়ে আসার পরিকল্পনা

সেক্টর কর্মসূচি ছাড়াই স্বাস্থ্যের এক বছর, ২৫ হাজার কর্মীর চাকরি অনিশ্চয়তায়

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত