ডা. মো. ফজলুল কবির পাভেল

ডা. মো. ফজলুল কবির পাভেল

মেডিকেল অফিসার, 
২৫০ শয্যা হাসপাতাল, জয়পুরহাট


১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:১৪ এএম

শিশুর মাম্পস: লক্ষণ ও প্রতিরোধ 

শিশুর মাম্পস: লক্ষণ ও প্রতিরোধ 
ছবি: সংগৃহীত

মাম্পস খুবই পরিচিত এক অসুখ। শিশুদের এই অসুখ বেশি হয়। এক প্রকারের ভাইরাস দিয়ে রোগটি হয়। মাম্পস খুব ছোঁয়াচে রোগ। একজন থেকে আরেকজনে এটি ছড়ায়। কানের নিচে প্যারোটিড গ্রন্থি থাকে। মাম্পস হলে এই গ্রন্থি ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়।

সারা পৃথিবীতেই শিশুদের মধ্যে এই রোগ হয়ে থাকে। তবে যেকোনো বয়সেই কিন্তু মাম্পস হতে পারে। শিশুদের এই অসুখ বেশি হয়। সাধারণত মাম্পস নিজে নিজেই সেরে যায়। লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিলেই কাজ হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই অসুখ নানা জটিলতা সৃষ্টি করে।

এই অসুখ এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি, কাশি দিলে ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্য ব্যক্তির নাক কিংবা মুখ দিয়ে ভিতরে গিয়ে রোগের সংক্রমণ ঘটায়।

মাম্পসের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। সাথে কানের নিচের প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে যায় এবং সেখানে ব্যথা হয়। মাথাব্যথার সঙ্গে গলাব্যথা থাকতে পারে। মাম্পস হলে ভালো করে ঢোক গিলতে ও খেতে কষ্ট হয়।

মাম্পস ভাইরাসঘটিত রোগ। এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। টিকার মাধ্যমে মাম্পস প্রতিরোধ করা যায়। মাম্পস হলে উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা, যেমন : জ্বর ও ব্যথার জন্য ওষুধ দেওয়া হয়।

ব্যথার কারণে এ সময় শিশুরা খেতে চায় না। তাই বেশি করে তরল খাবার দিতে হবে। পানিস্বল্পতা যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাম্পস হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে। ব্যথা ও জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সব ওষুধ খেতে হবে।

আক্রান্ত শিশুকে এ সময় ঘরে রাখতে হবে। স্কুলে গেলে অন্য বাচ্চাদেরও এই রোগ ছড়াতে পারে। শিশুসহ পরিবারের সবার ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মানতে হবে। মাম্পস হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত