চমেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে জখম, আইসিইউতে ২

মেডিভয়েস রিপোর্ট: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ৬২তম ব্যাচের চার শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রবাসের বিভিন্ন কক্ষে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনে আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- চমেকের ৬২তম ব্যাচের এম এ রায়হান, মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র, জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল এবং সাকিব হোসেন। এর মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থীকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
মারধরের শিকার এম এ রায়হান মেডিভয়েসকে বলেন ‘আমাকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর শুরু করে। মারার কারণ জানতে চাইলে তারা অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে এবং পিটাতে থাকে।'
এ বিষয়ে চমেকের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ দাশ, রিয়াজুল জয়, জাকির হোসেন সায়াল, মাহিন আহমেদ, ইব্রাহিম সাকিব, শামীম, ইমতিয়াজ, হাবিব, সৌরভ দেবনাথ ও চমনের নেতৃত্বে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
চমেক ছাত্রবাসের ইনচার্জ ডা. মিজানুর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম। দুপুরে শুনেছি আমাদের চারজন ছাত্রকে মেরে ছাত্রবাসে আটকে রাখা হয়েছে। শুরুতে আমি হোস্টেল সুপার ডা. রিজওয়ান রোহানকে খবর নিতে বলি, কিন্তু খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমি প্রিন্সিপাল ম্যাডামকে বলি। তিনি পুলিশসহ গিয়ে দুই জনকে উদ্ধার করে আইসিইউতে ভর্তি করেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তারকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ‘বুধবার দিবাগত রাতে ছাত্রাবাসের বিভিন্ন রুম থেকে তুলে নিয়ে তাদের নির্যাতন করা হয়। হোস্টেল এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে বিষয়টি জেনেও উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমরা এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্রাবাসে নিয়মিত পুলিশের সঙ্গে আরও পুলিশ মোতায়েন করেছি। নির্যাতনকারীদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, অভিজিৎ দাশ, রিয়াজুল জয়, জাকির হোসেন সায়াল, মাহিন আহমেদ ও ইব্রাহিম সাকিব মারামারিতে জড়িয়ে কলেজ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।
এসএস