ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শে রোজার প্রস্তুতি নেয়া উচিত

মেডিভয়েস রিপোর্ট: রোজা মানুষকে সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করে। রমজানে সুস্থ ও স্বাভাবিক সাধারণের জন্য মেনে চলা সহজ হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা পড়েন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। তাই রমজানের ফরজ রোজাকে সঠিকভাবে আদায়ের জন্য রোজার অন্তত ৩ মাস আগে থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেই ডায়াবেটিস রোগীদের রোজার প্রস্তুতি নেয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রোজা মানুষকে সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করে। আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধিতা, ধৈর্য ও তাকওয়া অর্জনের অন্যতম প্রধান উপায় রোজা। সাধারণের জন্য মেনে চলা সহজ হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা পড়েন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। রোজা রাখতে পারবেন কিনা। কারণ রোজায় খাদ্যাভ্যাস ও খাওয়ার সময়সূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। সুশৃঙ্খল জীবন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অপরিহার্য।
ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে আসন্ন রমজান মাসকে ‘ডায়াবেটিস ও রমজান সচেতনতা’ মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্টদের প্রাণের সংঠন অ্যাসেসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রাইনোলোজিস্ট এন্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশ (এসেডবি)।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
এ ছাড়াও গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন। উপস্থিত ছিলেন এসেডবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসেডবির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম সিদ্দিকি, ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন এসেডবির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন।
ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, ডায়াবেটিস রোগীদের কথা মাথায় রেখে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এসেডবি, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। সংগঠনটির এই উদ্যোগটিকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি কর্মসূচি হাতে নেয়ার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন জানান, গবেষণায় দেখা গেছে রোজার মাধ্যমে একজন মানুষের ইতিবাচক আচরণ ও শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ ছাড়াও রোজার পাশাপাশি তারাবির নামাজ পড়লে বাড়তি ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। এসেডবির এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি সবাইকে পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
এসেডবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, একটি গবেষণায় উঠে এসেছে ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন, তবে এরমধ্যেই ৫০ শতাংশেরও বেশি রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই রোজা রাখেন। যার ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য প্রস্তুতি আর সচেতনতা প্রয়োজন।