জাপানে ১৬ লাখের বেশি মডার্নার কোভিড টিকা স্থগিত
মেডিভয়েস রিপোর্ট: ভেজাল ও দূষিত উপাদানের উপস্থিতি থাকায় জাপানে মডার্নার কোভিড টিকার প্রায় ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডোজের প্রয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। সেখানকার ওসাকা সহ আরও ৭ টি টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকার ভেজাল ডোজ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪০০ ডোজ ভায়ালের একটি ব্যাচের কিছু ডোজে ভেজাল ও দূষিত উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ কারণে মডার্নার ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডোজ স্থগিত করা হয়েছে।
জাপানে এ টিকা বিক্রি ও সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালস জানিয়েছে, সাবধানতার অংশ হিসেবে মডার্না তাদের টিকার আরও তিনটি ব্যাচের সরবরাহ আপাতত স্থগিত রেখেছে। টিকার ডোজে যে পাওয়া গেছে, সেটা আসলে কী, তাও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর একে কণাজাতীয় পদার্থ বলেছে তাকেদা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাপানে মডার্নার যে ব্যাচটিতে এই ভেজাল ডোজগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছিল স্পেনের ওষুধ ও টিকার প্রস্তুতকারী কোম্পানি রভিতে।
মডার্না থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত তারা নিরাপত্তা বা টিকার কার্যকারিতায় কোনো সমস্যা পায়নি। ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালের সঙ্গে কাজ করার কথাও জানিয়েছে তারা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মডার্না টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মডার্নার জাপানি ব্যবসায়িক অংশীদার তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালস গত ১৬ আগস্ট প্রথম এই টিকার ডোজে ভেজাল বা দুষণযুক্ত উপাদানের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে। অনুসন্ধানে সময় ব্য়য় হওয়ার কারণে ১০ দিন পর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, যে ব্যাচটিতে এই ভেজাল টিকার ডোজগুলো পাওয়া গেছে, সেটি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ওসাকায় টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য ৬ আগস্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচিতে ফাইজার-বায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা ব্যবহার হয়ে আসছিল। গত মে থেকে তৃতীয় টিকা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে মডার্না।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশটির ৪০ শতাংশের বেশি নাগরিক টিকার সবগুলো ডোজ পেয়েছেন, অন্তত এক ডোজ পেয়েছেন এমন নাগরিকের সংখ্যা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।