ডা. কামারুজ্জামান নাবিল
শিক্ষানবিশ চিকিৎসক, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা;
এমবিবিএস, ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান
২৬ জুন, ২০২১ ০৯:৪৭ এএম
যেসব স্থানে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি
ইরানে করোনার অবস্থা যখন প্রকোপ আকার ধারণ করছিল সে সময় করোনা সেন্টার হাসপাতালগুলোতে রোগীর স্বজনদের জন্য হাসপাতালে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যাতে হাসপাতালে যাতায়াতের মাধ্যমে অন্যদের মাঝে করোনার বিস্তৃতি না ঘটে।
অন্য দিকে করোনা সেন্টারগুলোকে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয় এবং অন্য রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালগুলো প্রস্তুত করা হয়, যাতে করোনা সেন্টারে এসে অন্য কেউ করোনায় আক্রান্ত না হয়।
কিছুদিন আগের একটি মেডিকেল গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছিল কোন স্থানগুলোতে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি। সেখানে বলা হচ্ছে, হাসপাতালের ভেতরের বারান্দা বা যাতায়াতের জায়গাগুলোতে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে বুঝতেই পারছেন অন্য সাধারণ রোগী যারা অন্য রোগের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যাচ্ছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা বেশি।
দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী ২৮ জুন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে জরুরি তথ্য বিবরণীতে এ ঘোষণা দেয় তথ্য অধিদপ্তর। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধকল্পে সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
বিবরণীতে আরও বলা হয়, কঠোর লকডাউনের সময় জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এছাড়া জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে।
এছাড়া মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে পুলিশ, বিজিবি এবং মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী।
এক জেলার সাথে আরেকটি জেলার যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভাল সিদ্ধান্ত। কিন্তু অন্যদিকে একই হাসপাতালে করোনা রোগীদের সাথে অন্যদের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি দেখা যাচ্ছে। রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভুল না বললে সেই কাজটিই করা হচ্ছে। এতে করে করোনার বিস্তৃতি কতটা কমানো যাবে তা প্রশ্নই থেকে যায়।