‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা মোকাবিলায় সফলতা’
মেডিভয়েস রিপোর্ট: দেশের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সফলতা এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ উপলক্ষে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কোনও ম্যাজিকের কিছু না। যখন যেভাবে বলেছি, সবাই মেনে চলেছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করায় এটা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষের সম্মিলিত ম্যাজিক।’
করোনাভাইরাস সারাবিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছি, বিশেষ করে অর্থনীতির ক্ষেত্রে। মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেটা দেখেছি। আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছি। সব শ্রেণির মানুষ সহায়তা পেয়েছে। গবেষণা চলছে, আগাম অর্থ দিয়ে করোনার টিকা কেনার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
এ সময় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের গৌরব নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি এই অর্জন উৎসর্গ করছি দেশের নতুন প্রজন্মকে, যারা আজকের বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র তুলে দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তাঁর সঙ্গে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার দিবাগত রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএন-সিডিপি) সভায় পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের সুপারিশের ঘোষণা এসেছে। জাতিকে সেই সুখবর দিতেই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন প্রধানমন্ত্রী।
নিয়ম অনুযায়ী, তিন শর্ত পূরণ হলে এবং পরপর দুটি পর্যালোচনায় এ মানদণ্ড ধরে রাখতে পারলে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করে ইউএন-সিডিপি। তার মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে তিনটি শর্তই পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ এবং এ মান ধরে রেখেছে।
শর্তগুলো হলো: মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার, মনবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ বা নিচে আসতে হয়। বাংলাদেশ এসব শর্ত ২০১৮ থেকেই পূরণ করে আসছে।