২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১০:০৩ এএম

ডেঙ্গু নিরাময়ে কার্যকর লিভারের ওষুধ ‘এল্ট্রোম্বোপ্যাগ’

ডেঙ্গু নিরাময়ে কার্যকর লিভারের ওষুধ ‘এল্ট্রোম্বোপ্যাগ’

মেডিভয়েস রিপোর্ট: ডেঙ্গু রোগ নিরাময়ে কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে লিভারের ওষুধ ‘এল্ট্রোম্বোপ্যাগ’ এ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ  (ঢামেক) হাসপাতাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর একদল গবেষকের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, ওই ওষুধটি শুরুতে শুধু ক্রনিক লিভার ডিজিসজনিত অনুচক্রিকা স্বল্পতা সংশোধনে প্রয়োগ করা হতো। কিন্তু উপসর্গজনিত মিল থাকার কারণে পরবর্তীতে ডেঙ্গুজনিত অনুচক্রিকা স্বল্পতা সমাধানে এই ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য এই গবেষণার পরিকল্পনা করা হয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জিএসকে ও নোভার্টিস এর যৌথ উদ্যোগে ওষুধটি তৈরি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ওই ওষুধটি প্রথমে ডেঙ্গু রোগীদের ওপর প্রয়োগ করে কার্যকরী ফল পান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. মৌসুমী। ২০১৯ সালে যখন ডেঙ্গুর আক্রমণে জর্জরিত ঢাকাবাসী, তখন তিনি প্ল্যাটিলেট বাড়ানোর জন্য এল্ট্রোম্বোপ্যাগ ওষুধ প্রয়োগ করে গুরুতর ডেঙ্গু রোগী সারিয়ে তোলেন। এই সুফলের কারণে তিনি আরও চার জন অসহায় রোগীর চিকিৎসা করেন। কিন্তু দুই জন ভালো ফল পান, দুই জন মোটামুটি, আর একজনের ফল আশানুরূপ পাওয়া যায় না। তখন ডা. মৌসুমী বিষয়টি আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ড. সজীব চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক ড. এ.এইচ.এম. নুরুন নবীর সঙ্গে। সেই থেকেই ওষুধটির ওপর শুরু হয় যৌথ গবেষণা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে এই ওষুধটির কার্যকারিতা প্রমাণের জন্য রোগীদের ওপর দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষামূলক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেন। যা বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ‘দি ল্যান্সেট গ্রুপের ই-ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে সদ্য প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাকর্মটি পরিচালনার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.এইচ.এম. নুরুন নবী নেতৃত্ব দেন। ড. সজীব চক্রবর্তী তার শ্রম আর মেধা দিয়ে গবেষণাকর্মটি সার্বিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যান। এছাড়াও গবেষণাটির পেছনে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সারওয়ার আলম, মোহাম্মদ সায়েম, তন্ময় দাশ ও পিয়াল সাহার অবদান উল্লেখযোগ্য।

‘ছেলেরা কেন পিছিয়ে, কারণ অনুসন্ধান করুন’

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের গালমন্দ নয়: প্রধানমন্ত্রী

‘ছেলেরা কেন পিছিয়ে, কারণ অনুসন্ধান করুন’

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের গালমন্দ নয়: প্রধানমন্ত্রী

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক