করোনার চিকিৎসা
সাধারণ শয্যায় ১৫ ও আইসিইউতে ব্যয় ৪৭ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মেডিভয়েস রিপোর্ট: এবারের করোনাভাইরাসে সরকার সাধারণ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার জন্য নামমাত্র ফি নির্ধারণ করার পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা ফ্রি করা হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য এই মহামারীকালীন সময়ে সরকার সরকারিভাবে একজন সাধারণ রোগীর জন্য গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ও একজন আইসিইউ ইউনিটে থাকা রোগীর জন্য ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। ফলে করোনাকালীন মহামারীতে দেশের সাধারণ মানুষ ভীষণ উপকৃত হয়েছে।
আজ রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সম্পর্কে অংশীজনদের অবহিতকরণ সভায়’ সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘শেখ হাসিনা সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছে। অন্যরা কেবল ঘরে বসে থেকে সমালোচনা করে গেছে। শত সমালোচনার পরও দেশের স্বাস্থ্যখাত তার কাজ ঠিকভাবেই চালিয়ে গেছে।’
সভায় করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হলে তা মোকাবিলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পূর্বের সকল প্রস্তুতি ধরে রেখে কাজ করা হচ্ছে। ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো যেভাবে করোনার জন্য কাজ করেছে তা অব্যাহত রাখা হবে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পিপিই দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে তা ভবিষ্যতেও মজুদ থাকবে। এর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোকে প্রচারণা আরো বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতেও অবগত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সরকারি সেবা নিতে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে, যাকে ইংরেজিতে তুলে ধরা হয়েছে- ঘড় গধংশ, ঘড় ঝবৎারপব. খুব দ্রুতই করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
সভায় স্বাস্থ্য সেবায় মানুষের ব্যয় কমানো সংক্রান্ত নানা বিষয়াদি নিয়ে বিষয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবগণসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।