২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৪:০৯ পিএম

সুন্নতে খতনার সময় শিশুর মৃত্যু: জেএস ডায়াগনস্টিক সিলগালা

সুন্নতে খতনার সময় শিশুর মৃত্যু: জেএস ডায়াগনস্টিক সিলগালা
ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান জানান, ‘অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার জন্য হাসপাতালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়, কিন্তু এই হাসপাতালের শুধুমাত্র ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: সুন্নাতে খতনা করার সময় অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানীর মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান।

ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান জানান, ‘অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার জন্য হাসপাতালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়, কিন্তু এই হাসপাতালের শুধুমাত্র ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে। যে কারণে তাদের অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিশু তাহমিন আয়হামের মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা জেনেছি, গতকাল সামান্য একটা মুসলমানির জন্য শিশুটিকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডা. ইশতিয়াক নামক একজন এই খতনার সার্জন ছিলেন, আর ডা. মাহবুব মুর্শেদ শিশুটির অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস ছিলেন। অভিযোগ অনুসারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার সময় শিশুটিকে অজ্ঞান করার পর আর তার জ্ঞান ফেরেনি। পরে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে, একই অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহনাফ তাহমিদ (১০) নামের শিশুটি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম ফখরুল আলম।

সন্তানের মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে গতকাল রাতে একটি মামলা করেন তিনি। হাতিরঝিল থানায় করা এ মামলায় হাসপাতালটির মালিক মোক্তাদির হোসেন, অ্যানেসথেশিওলজিস্ট ডা. মাহবুব মোর্শেদ ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. ইশতিয়াক আজাদকে আসামি করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. আবু হোসেন মইনুল আহসান আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেডিভয়েসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর ওই দুই চিকিৎসক থানায় আছেন। তারা হলেন ডা. মোক্তাদির হোসেন ও ডা. মাহবুব মোর্শেদ।

ডা. মইনুল আহসান বলেন, ডা. মোক্তাদির হোসেন জে এস হাসপাতালের একজন পরিচালক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের সার্জন। ডা. মাহবুব মোর্শেদ ওই বেসরকারি হাসপাতালের অ্যানেসথেশিওলজি বিভাগের চিকিৎসক। তিনি এই অস্ত্রোপচারে অ্যানেসথেশিয়া দিয়েছিলেন।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
ছেলের চোখে অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান

সাতকানিয়ার চুপচাপ বালক যেভাবে হয়ে উঠেন কিংবদন্তি চিকিৎসক

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক