স্বাগতম যুবতী, স্বাগতম কমরেড

শনিবার সন্ধায়
যখন রোজ দৌড়াতে দৌড়াতে,
হাঁটতে যায় শুকাতে যায়,
তিরিশের আকাঙ্ক্ষা ঝরাতে ছুঁটে যায়।
তখন তুমি লাল দালানের সামনে,
একটা চেয়ার পেতে হেলেদুলে,
মাঝে মাঝে বাতাসে নিজেকেও দুলিয়ে
একটা চেয়ার পেতে,
সাহেবের সড়কে ...।
যে সড়ক নিরাপদ,
যে সড়কের একটা
অফ হোয়াইট বাসার
ছোট্ট একটা ব্যালকনিতে
ভেসে আসে মিছিলের শব্দ,
হৃদয়ে নাড়া দেয়, কম্পন তুলে স্বপ্নের।
ইচ্ছা হয় ছুঁটে যায়,
মিছিলের পেছনে,
নীরবে নিভৃতে।
যে লাল দালান
যেন কত আপন।
রাস্তার উল্টোদিকের
একটা সাদামাটা অফিস,
যাঁর পেছনে ক্লান্ত হতেও
খুউব বেশিই ভালো লাগে।
যে খোলা জমিনের সবুজ
মাটিতে আশ্রয় নেয় কত,
এলোমেলো এ যেন না ভালো
দুষ্টু ছেলের দল, বাচ্চা বা শিশু।
একটু অন্ধকারে,
একটু আড়ালে,
কিছু ইচ্ছা গোপন করে।
খোলা বুকটা ঢেকে রেখে,
নিজের অনিচ্ছাতেই।
ভরা বর্ষার বর্ষণে,
টলমলে শরীরে,
ভরা যৌবন আলগা করে,
কিছু রঙিন চুল সামনে মেলিয়ে,
তুমি আনমনে বসে থাকো,
কোমল মোহনীয়
আবেদনময়ী পা তুলে,
ভাঁজ করে উঁচুতে।
তখন কিছু দলছুট যুবক
তোমাকে ঘিরে ধরে,
কাছাকাছি পাশে বসে,
টি শার্টে শরীরের গন্ধ শুঁকে,
কিছু বখাটে যুবক,
লোলুপ দৃষ্টিতে
তির–ধনুক চোখ দিয়ে,
তোমার পাখা মেলে
তোমার পাখা খুলে,
উঠতি বয়সের কেউ কেউ,
তোমাকে বসিয়ে নেয়
প্রেমিকার আসনেও।
ওরা তোমাকে দেখে মজা নেয়,
ওরা এই সন্ধ্যা নামার কিছুটা পরে,
একুশের একটা যুবতীকে কাছে পেয়ে,
কামনার সুবাস নেয়।
ওরা অবুঝের মতো দূর থেকে কাঁশবন দেখে
সারাজীবন ওদের দেখে যেতেই হয়।
তখন তুমি মজা দাও
দিতেই থাকো,
তুমি একটা ভালো মেয়ে।
তুমি এ মাটির নেতা
তুমিই আগামীর নেতা।
তুমি নেত্রী কেনো হবে?
নেতৃত্বের কোনো লিঙ্গভেদ হয় না।
নেতা তো নেতাই,
পিতা তো পিতাই,
হোক সে নেতা ...।
স্বাগতম যুবতী
স্বাগতম কমরেড!