বিশ্বের প্রথম কোনো নারীর এইচআইভি জয়
মেডিভয়েস রিপোর্ট: বিশ্বের প্রথমবারের মতো কোনো নারী মরণব্যাধি এইচআইভি থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তার শরীর থেকে এইচআইভি পাশাপাশি ক্যান্সারের জীবাণু ছিল।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ডেনভারে রেট্রোভাইরাস এবং সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত ইনফেকশন সংক্রান্ত এক সম্মেলনে একদল গবেষক এমন তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষকরা জানান, ওই নারীর দেহে অন্য এক দাতার দেহ থেকে নাভির কর্ড রক্ত ব্যবহার করে স্টেম সেল বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মধ্যমে আক্রান্ত নারীর সুস্থতা মেলে। ওই নারী লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এর চিকিৎসার জন্য তাকে ‘কর্ড ব্লাড’দেয়া হচ্ছিল। ফলে এইচআইভি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি’ ছাড়াই ১৪ মাস তিনি ভাইরাসটি থেকে মুক্ত ছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো একজন এইচআইভি আক্রান্ত রোগীকে এইডস ভাইরাস মুক্ত করা সম্ভব হয়। তখন এটিকে প্রাণঘাতী এইডস ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হয়। পাশাপাশি রোগীর নাম, পরিচয়, বয়স বা জাতীয়তা, সবই গোপন রাখা হয়েছিল। তবে যেহেতু যুক্তরাজ্যে তাকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয় সে কারণে তাকে শুধু ‘লন্ডন রোগী’ নামে ডাকা হয়। তারও একই প্রক্রিয়ায় অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়।
এই রোগীর আগে প্রথম একজন রোগীকে এইডস ভাইরাসমুক্ত করা হয় ২০০৭ সালে জার্মানির বার্লিনে। তার দেহেও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে একইভাবে ভাইরাসমুক্ত করা হয়। প্রথম এইডস ভাইরাসমুক্ত করা রোগীকে ‘বার্লিন রোগী’ নামে ডাকা হয়।
প্রসঙ্গত, ‘স্টেম সেল’ হচ্ছে মানবদেহের এক ধরনের কোষ যা বিভাজিত হয়ে একাধিক কোষ তৈরি করে। পাশাপাশি অন্য ধরনের কোষ তৈরি করতেও সক্ষম এটি।