০৬ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:১২ এএম

প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে শিক্ষকদের সংকোচ কাটাতে হবে: বিডব্লিউএইচসি

প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে শিক্ষকদের সংকোচ কাটাতে হবে: বিডব্লিউএইচসি
৪২ বছরে বিডব্লিউএইচসি সাত কোটির বেশি নারীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছে।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: দেশের স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নারী স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন করতে পাঠ্যক্রমে প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে পড়াতে সংকোচ বোধ করেন। শিক্ষকদের এই সংকোচ কাটাতে হবে। নারী স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে শিক্ষিতদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশনের (বিডব্লিউএইচসি) চার দশক পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার কর্মকর্তারা।

বিষয়টি সম্পর্কে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শরিফ মোস্তফা হেলাল বলেন, ‘স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকে খুব সুন্দরভাবে প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গায়ই আমরা শুনেছি, শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বলেন ওই চ্যাপ্টারগুলো বাসায় পড়ে নিতে। যেসব জায়গায় শিক্ষক নারী এবং শিক্ষার্থীদের সবাই কিশোরী, সেসব ক্ষেত্রেও এমনটা করা হয়। অর্থাৎ শিক্ষকেরা এ বিষয়গুলো পড়াতে সংকোচ বোধ করেন। শিক্ষকদের এই সংকোচ কাটাতে হবে।’

সংস্থার সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেন, ‘মা হওয়াটা নারীর দুর্বলতা নয়, শক্তি। গর্ভবতী অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা পাওয়া নারীর অধিকার। মাতৃমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। কিন্তু আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমরা চাই, আর একজন নারীকেও যেন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করতে না হয়।’

বক্তারা জানান, প্রসবজনিত রোগ ফিস্টুলা নারীদের একটি জটিল সমস্যা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে অনেক নারীই এই রোগে আক্রান্ত হন। মাতৃস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হলে ফিস্টুলার মতো অনেক জটিল অসুখ এড়ানো সম্ভব।

৪২ বছর ধরে নারীস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে বিডব্লিউএইচসি। ১৯৮০ সালের ১ এপ্রিল সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিডব্লিউএইচসির নেতারা সংস্থাটির ৪২ বছরের কার্যক্রম, সফলতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

তাঁরা জানান, ৪২ বছরে বিডব্লিউএইচসি সাত কোটির বেশি নারীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছে। এ সময়ে ৯২টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি নারীদের আইনগত বিষয়ে সচেতন করে তোলা এবং বাল্যবিবাহ দূরীকরণেও কাজ করছে বিডব্লিউএইচসি। সারা দেশে ১৫টি সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে এসব কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।

সংস্থার সহসভাপতি জাহানারা সাদেক বলেন, ‘১৯৮৪ সালে আমরা প্রথম নারীদের এমআর (মাসিক নিয়মিতকরণ) সেবা দেওয়া শুরু করি। সে সময় পরিবার পরিকল্পনার বিষয়টি একরকম নিষিদ্ধই ছিল। দুই লাখ ৪২ হাজার ৭৫৪ জন নারীকে আমরা এই সেবা দিয়েছি।’

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক