সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
মেডিভয়েস রিপোর্ট: করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এখন থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জুম বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মূনাজ আহমেদ নূর গণমাধ্যমকে বলেন, বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে যারা চাইবে তারা অনলাইনে শুধু একাডেমিক পরীক্ষাগুলো নিতে পারবে। সেক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন নিতে হবে।
উপাচার্য ড. মূনাজ জানান, অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ইউজিসির টেকনিক্যাল কমিটি একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এ গাইডলাইন ফলো করে পরীক্ষা নিতে হবে। কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে, কীভাবে পরীক্ষা মনিটরিং করতে হবে, তার সবকিছু বলা আছে।
এদিকে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজাও জানান একই তথ্য। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষা নেবে। তবে কীভাবে নেবে, সেটা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে ঠিক করবে। এ বিষয়ে তারা একটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটা পরিপত্র আকারে জারি করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হবে।
গত বছরের ৮ মার্চ করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার দশদিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার আগের দিন থেকেই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর দফায় দফায় সেই ছুটির সময়সীমা বাড়ানো হয়।
সর্বশেষ ২৩ মে স্কুল-কলেজ ও ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হওয়ায় ওই তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এ রকম পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ দিতে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে একটি রূপরেখা বা নির্দেশনাও তৈরি করেছে। এটি আজকের সভায় উপস্থাপন করা হয়।