দেশে প্রথমবারের মত জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালিত হচ্ছে

ক্যান্সারবিরোধী মোর্চা ‘মার্চ ফর মাদার’ ও ‘আন্তর্জাতিক রোটারি জেলা ৩২৮১, বাংলাদেশ’ এর যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মত জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বাল্যবিবাহকে জোর না’।
দিসবটি উপলক্ষে শনিবার সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ এর গভর্নর এফ এইচ আরিফ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও ক্যান্সার ইপিডেমিওলজির বিভাগীয় প্রধান এবং ব্রেস্ট অ্যান্ড সারভাইক্যাল ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিসট্রিক্ট ৩২৮১ম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতিবছর পাঁচ লাখ ২৮ হাজার নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন দুই লাখ ৬৬ হাজার জন। জরায়ু ক্যান্সারে নারী মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে এই রোগে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা ১১ হাজার ৯৫৬ জন বা ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এরমধ্যে মারা যান ৬ হাজার ৫৮২ জন বা ১৫ দশমিক ছয় শতাংশ।
পরে তারা ‘জননীর জন্য পদযাত্রা’ বের করেন। পদযাত্রা থেকে জরায়ুমুখের ক্যান্সার নিয়ে সহজ বাংলায় লেখা তথ্যসমৃদ্ধ লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
দিবসটি পালন প্রসঙ্গে ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, প্রতি বছর দেশে ১২ হাজার নারী নতুন করে জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, সাড়ে ৬ হাজার মৃত্যুবরণ করেন। একটু সচেতন হলে, বাল্যবিবাহসহ কিছু ঝুকিপূর্ণ বিষয় ও আচরণ বর্জন করলে ও এইচপিভি ভ্যাক্সিনসহ কিছু ভালো অভ্যাস গ্রহণ করলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে নিরাময় সম্ভব, তাই প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা।