বর্তমানে দেশে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি প্রায় ২০ হাজার

বর্তমানে দেশে প্রায় ২০ হাজার লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি রয়েছে, যাতে প্রায় সব ওষুধই ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) ড্রাগে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে রাতারাতি উত্তরণ সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার মহাখালীতে ওষুধ ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘বিশ্বব্যাপী ওটিসি ড্রাগ নীতিমালা পরিস্থিতি : বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষজ্ঞ আলোচকগণ এ অভিমত দেন। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
আলোচনায় বলা হয়, একমাত্র সচেতনতাই ক্রেতাদের সুপারিশকৃত ওষুধ আর ওটিসি ড্রাগের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করতে পারে। এ জন্য গ্রাহকদের সঙ্গে চিকিৎসকদের যথাযথ যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বিশ্বমানের ওটিসি ড্রাগ নীতিমালা প্রণয়নে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কমিটি গঠনও জরুরি।
তারা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রেসক্রিপশনবিহীন ওষুধ প্রয়োগে অনেক সময় রোগী মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে। এ ক্ষেত্রে সবার সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে অভিমত দিয়েছেন তারা।
