মধ্যরাতের ডিউটি

-স্যার।
-কে?
-আমি।
-আমি কে?
-আমি কে? কঠিন প্রশ্ন।
-কি আশ্চর্য! আপনি জানেন না আপনি কে?
-না। জানি না।
-তাহলে আপনি কি?
-আমি মহাজাগতিক অস্তিত্ত্ব।
-কি ধরণের অস্তিত্ত্ব?
-মানুষের চেয়ে উন্নত অস্তিত্ত্ব।
-মানুষ কি?
-আপনিই বলুন।
-আমি জানি না।
-না জানাটাই স্বাভাবিক স্যার। একমাত্র পরম সত্ত্বা ছাড়া সবার পরিচয়ই আপেক্ষিক।
-পরম সত্ত্বা কি?
-যিনি ছিলেন,আছেন এবং থাকবেন।
-আরো কিছু বলুন। আপনার সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে।
-আর কিছু জানি না স্যার। জানার চেস্টা করছি।
-আমাকে স্যার বলছেন কেন?
-সেটা জানা কি জরুরী?
-না। জরুরী না।
-জরুরী বিষয়ে ফোকাস করুন।
-জরুরী বিষয়টা কি?
-জরুরী বিষয় হলো একটা রোগি আসছে। আর আপনি ঘুমাচ্ছেন।
-কি?
-রোগী আসছে স্যার। ডায়রিয়া রোগী।
-ডায়রিয়া রোগীর খেতাপুড়ি। মহাজাগতিক অস্তিত্ব সম্পর্কে বলুন। এই অস্তিত্বটির নাম কি?
-ওয়ার্ডবয়।
-কি?
-ওয়ার্ডবয়।
-আশ্চর্য! আপনি আসলে কে বলুন তো?
-আমি আলম স্যার। ওয়ার্ডবয়।
-মহাজাগতিক প্রাণী না?
-না স্যার।
-মহাজাগতিক প্রাণীটা কোথায় গেল?
-কি জিনিস স্যার?
-মহাজাগতিক প্রাণী। মানুষের চেয়ে উন্নত অস্তিত্ব।
-স্যার আমি খুইজা দিতেসি। আপনি রোগী দেইখা আসেন।
-আচ্ছা।
-স্যার প্রাণীডা পাইলে কি করুম?
-ভালো করে ফ্রাই কোরো। ঝাল বেশী দিবা।
ঘুমের মধ্যে কি বলেছি কে জানে। চোখ খুলে দেখি আলম হা করে তাকিয়ে আছে। থাক কিছুক্ষণ হা করে। আমি রোগীটা দেখে আসি।
বাইরে বেরিয়ে দেখি বিশাল থালার মতো চাঁদ উঠেছে। চাঁদের আলোয় হেলথ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনকে মায়াময় দেখাচ্ছে। প্রেমিকার আহবান উপেক্ষা করা যায় কিন্ত এমন জোছনার ডাক উপেক্ষা করা যায় না। তবুও উপেক্ষা করলাম। কারণ আমি কবি নই। আমি একজন চিকিৎসক। আমার আছে মধ্যরাতের ডিউটি।
বিশেষ সাক্ষাৎকার
ইন্টার্নদের ভাতা ৩০ হাজার টাকা হওয়া উচিত: মুগদা মেডিকেল অধ্যক্ষ
আসছে নতুন কাব্যগ্রন্থ
সাহিত্য চর্চায় আনন্দ খুঁজে পাই: অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন

পিতাকে নিয়ে ছেলে সাদি আব্দুল্লাহ’র আবেগঘন লেখা
তুমি সবার প্রফেসর আবদুল্লাহ স্যার, আমার চির লোভহীন, চির সাধারণ বাবা
