নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি এখন মনপুরায়

ইলিয়াস হোসেন : আনন্দে ভাসছে ভোলা মনপুরা বাসী। সাগরবেষ্টিত এ জনপদের স্বাস্থ্য সেবা ত্বরান্বিত করতে সরকারের দেয়া নৌ এ্যাম্বুলেন্সটি শুক্রবার পৌঁছেছে সেখানে। খুব শিঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মাধ্যমে এটি রোগী আনা-নেয়ার কাজে লাগানো হবে বলে আশা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২৫ জুলাই নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি মনপুরায় পৌঁছানোর কথা ছিলো। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা বন্ধ রাখা হয়। এ বিষয়ে পরদিন ২৬ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদ-এর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মেডিভয়েস-এর বার্তা সম্পাদক। সে সময় তিনি জানান, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে অ্যাম্বুলেন্সটি আনা হবে।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন, মনপুরা সদর হাসপাতালে বিছিন্ন চরাঞ্চল থেকে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে অসুস্থ্য রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে আনার জন্য এখন থেকে চলবে নৌ এ্যম্বুলেন্স। এছাড়াও গুরুতর অসুস্থ্য গর্ভবতি মহিলাদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর অথবা বিভাগে পাঠানোর জন্য এখন সু ব্যাবস্থা রয়েছে। উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দেওয়ার জন্য ব্যাবস্থা রয়েছে নৌ এ্যাম্বুলেন্সটিতে।
অ্যাম্বুলেন্সটি শুক্রবার সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে বিকাল ৫টায় মনপুরার হাজির হাট ঘাটে এসে পৌঁছায়। শত শত লোক হাজির হাট ঘাটে এসে অ্যাম্বুলেন্সটি দেখার জন্য ভিড় করেন।
স্থানীয়রা মনে করছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদের উদ্যোগে মাননীয় পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব এম.পি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি মিসেস শেলিনা আকতার চৌধুরীর আন্তরীক প্রচেষ্ঠায় রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দের সহযোগীতায় স্বাস্থ্ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মনপুরা সদর হাসপাতালের জন্য নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়া গেলো।
জানা গেছে, ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা অ্যাম্বুলেন্সটির দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৭ ফুট। এতে রয়েছে একটি কেবিন, একটি রোগীর বেড, একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার, দুটি ফ্যান, একটি প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স ও ১০টি লাইফ জ্যাকেট। অ্যাম্বুলেন্সটিতে রোগীসহ ২০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। ডিজেলচালিত নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি ঘণ্টায় ১২ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে পারবে, যাতে তেল খরচ তিন লিটার।
