বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস আজ

মেডিভয়েস ডেস্ক: বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস আজ। ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য- সন্তান হবে পরিকল্পিত পরিবারের অংশ, অনাকাঙ্ক্ষিত বোঝা নয়।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমানে দেশে পিল বা খাবার বড়ি, কপারটি, ইনজেকশন, লাইগেশন, চামড়ার নিচে বসিয়ে দেয়া ক্যাপসুল (ইমপ্ল্যান্ট), কনডম ও ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
তবে দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের হার এখনো আশাব্যঞ্জক নয়। এক্ষেত্রে পুরুষদের অংশগ্রহণ খুবই কম। আর স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষদের হার একেবারেই নগণ্য। অস্থায়ী পদ্ধতিতে আগ্রহ থাকলেও স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণও আশানুরূপ নয়। এই প্রেক্ষাপটে আজ রবিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস।
এর মধ্যে কনডম ও ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি ছাড়া বাকি সবই নারীদের জন্য। এসব পদ্ধতির মধ্যে খাবার বড়ির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালে পুরুষের জন্য এক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি মানবদেহের জন্য নিরাপদ প্রমাণিত হয়। ওই সময় আমেরিকার নিউ অর্লিনসে একটি নেতৃস্থানীয় মেডিকেল সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করা হলেও তা আজও বাজারে আসেনি।
মহামারি সংক্রমণ শুরুর আগে ২০২০ সালে অবস্ট্রিক্যাল এন্ড গাইনোকোলজিকাল সোসাইটি বাংলাদেশের (ওজিএসবি) তথ্যানুযায়ী, খাবার বড়ির ব্যবহার ২৫ থেকে ২৭ শতাংশ, ইজেকশন ১১ শতাংশ আর নারীদের স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণের হার ৭ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে কনডমের ব্যবহার সাত শতাংশ আর ভ্যাসেকটমির হার মোট এক শতাংশ।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের হিসেবে, দেশে সক্ষম দম্পতির মধ্যে ৬৩ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। প্রজননের হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে থাকলেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এই প্রেক্ষাপট কতটা বদলেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো হয়নি। অপরদিকে পরিবার পরিকল্পনার তথ্য ও সেবার অপূর্ণ চাহিদার হার ১২ শতাংশ। করোনাকালে এই হারটিও বেড়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই হার ১৭ থেকে ২০ শতাংশে পৌঁছেছে।