
ডা. মারুফ রায়হান খান
লেকচারার, ফার্মাকোলজি বিভাগ, এনাম মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।
১৯ অগাস্ট, ২০২৩ ১১:৪০ এএম
শয্যা না থাকলেও রোগী ফিরিয়ে দেয় না মমেকের হৃদরোগ বিভাগ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগে শয্যা সংখ্যা ৭২টি। রোগী ভর্তি থাকে প্রায় ২৫০-৩০০ জন। শয্যার সংকুলান না হলেও আশেপাশে ৮ জেলা থেকে আগত কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। সিঁড়ি কোঠা, লিফটের সামনে, গোলচত্ত্বর, ওয়ার্ডের রুমের বাইরে কোথায় নাই রোগী? হাঁটার জায়গা পর্যন্ত নেই, তবুও নিয়মিত চিকিৎসাসেবা চলছে এ বিভাগে।
সবচেয়ে বিড়ম্বনার নাম ২৫০ জন রোগীর সঙ্গে আত্মীয় স্বজন থাকে দেড় হাজার। কেমন হৈচৈ, কেমন সাফোকেশান। অথচ সবাই হার্টের সিরিয়াস রোগী। সবার নিরিবিলি বিশ্রাম প্রয়োজন, কিন্তু কে বোঝাবে কাকে। গার্ড দিয়ে বের করে দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যে আবার লুকিয়ে-চুরিয়ে রোগীর বেডে গোল হয়ে বসে পিকনিক করবে। কিন্তু চিকিৎসক-নার্স-লোকবল তো ওই ৭২ জন হিসেবেই। তবে আমি যখন ইতোপূর্বে এই বিভাগে কাজ করেছি, তখন এই এটেন্ডেন্ট সৃষ্ট সমস্যা আরও ভয়াবহ ছিল।
আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় বিভাগীয় প্রধান Gobinda Paul স্যার দায়িত্ব নেয়ার পর এ ব্যাপারটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে বাঙালিতো, তাই এদের নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন!
এখানে সবচেয়ে বেশি যে রোগটি নিয়ে ভর্তি হয়, তা হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক। হার্ট এটাক হয়েছে অথচ সিগারেট খান না বা দীর্ঘসময় ধরে সিগারেট খাননি, এমন কোনো পুরুষ রোগী পাওয়া যায়নি বললেই চলে। এই অঞ্চলের মানুষ কী ভয়াবহ রকমের ধূমপান করে, তা বিস্ময়কর! আর গ্রামাঞ্চলে যদিও নারীরা খুব বেশি ধূমপান করেন না, তবে তারা কিন্তু মারাত্নক রকমের প্যাসিভ স্মোকিংয়ের শিকার। এবং এটা নিয়ে তারা খুব একটা বিচলিতও নন।
একটা দৃষ্টান্ত পেশ করা যাক। ছবির মানুষটির জন্ম থেকেই হাত-পা এরকম। তিনি হার্ট এটাক নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। স্বভাবতই আমাদের মনে প্রশ্ন এসেছিল, উনি সিগারেট খান কি না? আবার এও ভাবছিলাম যে, এমন হাত দিয়ে নিশ্চয়ই সিগারেট খাওয়া সম্ভব নয় বা কারও মাথায় আসবে না। কিন্তু অবাক বিষয় হচ্ছে, উনি এই হাত দিয়েই নিজেই ম্যাচ জ্বালিয়ে বহু বছর ধরে সিগারেট খাচ্ছেন।
এএইচ/
-
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৩ মে, ২০২৩
-
২৯ জুন, ২০২২
-
০৮ এপ্রিল, ২০২২
-
০৬ এপ্রিল, ২০২২
-
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
-
১২ জানুয়ারী, ২০২২
-
০২ অক্টোবর, ২০২১
-
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
-
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১