মেডিকেলে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পেছালো
মেডিভয়েস রিপোর্ট: আগামী ১০ জুলাই এমবিবিএস ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে ২০২২-২০২৩ খ্রি. শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর তারিখ ১০/০৭/২০২৩ অনিবার্য কারণবশত নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হয়েছে। ক্লাস শুরুর দিনক্ষণ পরবর্তীতে জানানো হবে।’
দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অটোমেশন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ বন্ধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০। পূর্বে ৪০ নম্বর পেলেই বেসরকারি মেডিকেল ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচনা করা হতো। তবে এবার সেই পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধাক্রমে থাকতে হবে ৩৪ হাজারের মধ্যে।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়, ফল প্রকাশিত হয় গত ১২ মার্চ। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে আসন ৪ হাজার ৩৫০টি রয়েছে। আর ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ হবেন ৬ হাজার ১৬৮ জন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ও কোটা নির্ধারণে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত ও অনুমোদিত মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ২০২৩ প্রযোজ্য হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রযোজ্য হবে। কোনো অবস্থাতেই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না।
অনলাইন ফরম পূরণের নিয়মাবলি ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েব সাইট www.mefwd.gov.bd, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dgme.gov.bd স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dghs.gov.bd ও টেলিটক এর ওয়েব সাইট http://dgme.teletalk.com.bd হতে জানা যাবে।
আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণ, নিরীক্ষণ, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নির্ধারণ ও চূড়ান্তকরণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে।
নির্বাচিত কোন প্রার্থীর দেয়া তথ্য (যা কলেজ নির্ধারণে বিবেচিত হতে পারে) অসম্পূর্ণ ও ভুল প্রমাণিত হলে, তার আবেদন/কলেজ নির্ধারণ/ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
যে কোনো বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
