সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মেডিভয়েস রিপোর্ট: সরকারের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশু মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার (৫ জুন) বিএসএমএমইউ’র শেখ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে জাতিসংঘে ‘The Sheikh Hasina Initiative’ হিসেবে বিশেষ রেজুলেশন স্বীকৃতির উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ৭৫টি দেশ শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিককে গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে বড় ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কোভিডকালীন সময়ে টিকা কার্যক্রম ও কোভিডের স্বাস্থ্যসেবায়ও অনেক বড় অবদান রেখেছে এই ক্লিনিক। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো উপাধি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩২ রকমের ওষুধ দেওয়া হয়। এখানে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ এখন পোলিও, ফাইলেরিয়া ও টিটেনাস মুক্ত, এটি সম্ভব হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে। প্রতিদিন সারাদেশে ৫-৬ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা নিয়ে থাকেন, যা মাসে প্রায় দেড় কোটি।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে ডেলিভারি সেবা দেওয়া হয়। যারা সেবা নিতে আসেন তাদের বসার জায়গাও রয়েছে ক্লিনিকে। এখানে জরুরি ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এতে উপকৃত হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ। সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের বিকল্প নেই। কমিউনিটি ক্লিনিক নিরলসভাবে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের কাজটি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব চিকিৎসক কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, আজকের এই অর্জনে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি।
বাজেট প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য সেবার পরিধি আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে, সুতরাং বাজেট আরেকটু বাড়ানো দরকার ছিল।
কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটাতো অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয় তারপরও আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য যা যা করা দরকার করবো।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। প্রধানমন্ত্রীর অনেকগুলো অর্জনের মধ্যে এ অর্জন নিঃসন্দেহে অনন্য হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি মোহাম্মদ জামালউদ্দিন প্রমুখ।
এসএস/টিআই/এএইচ/