চীনে ফের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণ

মেডিভয়েস রিপোর্ট: চীনে আবারও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ ভ্যারিয়েন্ট জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মহামারি আকার ধারণ করে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ছয় কোটিতে পৌঁছাতে পারে। বড় ধাক্কা সামলানোর আগে নাগরিকদের টিকাদানের আওতায় আনার কথা ভাবছে চীনের প্রশাসন।
আজ শুক্রবার (২৬ মে) মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, নতুন 'এক্সবিবি' ভ্যারিয়েন্টের কারণে এই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত বছর চীন তার 'জিরো কোভিড' নীতি থেকে সরে আসার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ইমিউন সিস্টেমকে দমন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সাম্প্রতিক একটি সতর্কবার্তা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে জানান, পুরো বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যা করোনার চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে।
গত শীতে চীন তার কঠোর জিরো-কোভিড নীতি পরিত্যাগ করার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করতে পারে। সাম্প্রতিক উত্থান সেই অর্থে মারাত্মক হবে না বলে দাবি চীনের সরকারী সূত্রের।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশে করোনায় বয়স্কদের মৃত্যু রোধে টিকা দান কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভাইরাল সরবরাহ করা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। যার কারণে বহু মানুষ মারা যায়।
মহামারি ভাইরাস ইবোলা, সার্স, জিকা। এই তালিকার শেষ রোগটির নাম 'ডিজিজ এক্স', যা এখন উদ্বেগের কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট অনুসারে, শব্দটি এমন একটি মহামারীকে বোঝায় যা এমন একটি প্যাথোজেনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা বর্তমানে মানুষের মধ্যে রোগের কারণ হিসেবে পরিচিত নয়। এটি একটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের রোগ হতে পারে। যার কোনো পরিচিত চিকিৎসা নেই।
২০১৯ সালে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের পর এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিজ্ঞানীদের তাড়াহুড়ো করতে হয়েছিল। প্রায় তিন বছর পর পৃথিবী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। তবে বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে পরবর্তী মহামারী নিয়ে উদ্বিগ্ন।
-
২৬ মে, ২০২৩
-
২৩ মে, ২০২৩
-
২৬ এপ্রিল, ২০২৩
-
১৯ এপ্রিল, ২০২৩
-
১২ এপ্রিল, ২০২৩
-
১৬ মার্চ, ২০২৩
-
০২ মার্চ, ২০২৩