‘হজ মেডিকেল টিমে এক নার্স একাধিকবার’
নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ বিএনএ’র, প্রত্যাখ্যান নার্সিং ডিজির

মেডিভয়েস রিপোর্ট: নীতিমালা অনুসরণ না করে দুর্নীতির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর অনেক নার্সিং কর্মকর্তার নাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার চিকিৎসক দলে সম্পৃক্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ)।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর সংগঠনটির সভাপতি খাঁন মো. গোলাম মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব অভিযোগ করা হয়। তবে এ অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মাকসুরা নূর।
বিএনএ’র অভিযোগে বলা হয়েছে, উৎকোচ পেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর তাদের তৈরি করা নীতিমালা এবং অফিস আদেশ নিজেরাই অনুসরণ করেন না। মিথ্যা তথ্য, দুর্নীতি ও উৎকোচের বিনিময়ে হজযাত্রী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা-২০১৮ অনুসরণ না করে একই ব্যক্তিকে দুই থেকে তিনবার হজ মেডিকেল টিমের সদস্য হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত স্মারক অনুসারে হজ স্বাস্থ্যসেবা দল ২০২৩ গঠনের লক্ষ্যে হজযাত্রী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী নার্সিং কর্মকর্তাদের নির্বাচনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিল। আবেদনের সাথে ইতিপূর্বে হজ মিশনে গমন করেননি মর্মে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যয়নপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে আগে এক বা একাধিকবার গমন করেছেন, তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ ছিল।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত স্মারকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা স্মারক অনুযায়ী হজযাত্রী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা ২০১৮ ধারা ৭; আবেদনের যোগ্যতার উপধারা ৭.৩; অনুসারে একবার হজ স্বাস্থ্যসেবা দলের সাথে সৌদি আরব গমন করে থাকলে, পরবর্তী বছর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কখনও আবেদন করতে পারবেন না বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল।
অথচ অত্যন্ত আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, নীতিমালা অনুসরণ না করে দুর্নীতির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর এমন অনেক নার্সিং কর্মকর্তার নাম ১৪ মে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, হজ-১ শাখার চিকিৎসক দলে সম্পৃক্ত করেছেন। এটি দুর্নীতির একটি মহা-উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এটি প্রমাণ হয়েছে যে উৎকোচ পেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর তাদের তৈরি করা নীতিমালা এবং অফিস আদেশ নিজেরাই অনুসরণ করেন না।
বিএনএ’র পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা হজ চিকিৎসক দলে ১০২ জন চিকিৎসককে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে চিকিৎসক ও নার্স অনুপাত হবে ১:৩ অথচ এখানে চিকিৎসক ও নার্সের অনুপাত হলো ১:০.৬, যা পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুসারে ১০২ জন চিকিৎসকের বিপরীতে নার্সের সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ৩০৬ জন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর মেডিভয়েসকে জানান, ‘একবার হজ স্বাস্থ্যসেবা দলের সাথে সৌদি আরব গমন করেছেন, এ রকম কোনো নার্সের নাম দ্বিতীয়বার আমরা দেইনি। আমরা মন্ত্রণালয়ে নাম পাঠাই। তালিকা মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়, সেখানেও যাচাই-বাছাই করা হয়। অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
নীতিমালা ভঙ্গের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হজযাত্রী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা করা হয়েছে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।’
চিকিৎসক অনুযায়ী নার্স পাঠানোর বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশি নার্স পাঠাতে পারলে ভালো হতো। হাজিগণ ভালো সেবা পেতো। এখন চাইলেইতো ইচ্ছেমতো পাঠানো সম্ভব নয়, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
এএইচ/এমইউ
-
২১ মে, ২০২৩
-
১৬ মে, ২০২৩
‘হজ মেডিকেল টিমে এক নার্স একাধিকবার’
নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ বিএনএ’র, প্রত্যাখ্যান নার্সিং ডিজির
-
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
-
০৭ অগাস্ট, ২০২২
-
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
-
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
-
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
-
১২ মে, ২০২০
বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনের বাণী
করোনা প্রতিরোধে নার্সরা নির্ভীক সৈনিক : বিএনএ সভাপতি