ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসের ফি: অধ্যাপক ৪০০, সহযোগী অধ্যাপক ৩০০

মেডিভয়েস রিপোর্ট: নিজ কর্মস্থলে সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার (২৭ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের (অধ্যাপক) ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা, তবে তিনি পাবেন ৪০০ টাকা। সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্ট পাবেন ৩০০ টাকা। সহকারী অধ্যাপক পাবেন ২০০ টাকা। চিকিৎসককে যারা সহযোগিতা করবেন, তারা পাবেন ৫০ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ নেওয়া হবে ৫০ টাকা। এমবিবিএস-বিডিএস ও সমমান ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা পাবেন ১৫০ টাকা এবং এক্ষেত্রে সহায়তাকারী ২৫ টাকা ও সার্ভিস চার্জ বাবদ ২৫ টাকা করে নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ থেকেই সরকারি চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু এখন ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালু করার চেষ্টা করছি। প্রথমে কয়েকটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু করবো।’
দুই-তিন মাস যাবৎ ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল এ টার্মের শুরুতেই ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করা হোক, কিন্তু ডেঙ্গু ও করোনার কারণে তা আমরা শুরু করতে পারিনি। এখন আমরা আস্তে আস্তে সব জেলা ও উপজেলায় শুরু করবো।’
সার্জারি, ডায়াগনস্টিক ও ল্যাবরেটরি সেবা থেকে প্রাপ্ত অর্থের বিভাজন
সার্জারি মাইনর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাবেন ৮০০ টাকা, চিকিৎসা সেবায় সহয়তাকারী পাবেন ৪০০ টাকা ও সার্ভিস চার্জ বাবদ নেওয়া হবে ৩০০ টাকা। সার্জারি সিজার থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাবেন ১৫০০ টাকা, চিকিৎসা সেবায় সহয়তাকারী পাবেন ৫০০ টাকা ও সার্ভিস চার্জ বাবদ নেওয়া হবে ৫০০ টাকা। ডায়াগনস্টিক, ক্লিনিক্যাল ও প্যারাক্লিনিক্যাল টেস্টের টাকার ৫০ শতাংশ পাবেন চিকিৎসা সেবায় সহয়তাকারী আর ৫০ শতাংশ নেওয়া হবে সার্ভিস চার্জ বাবদ। এ ছাড়া রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং সেবা মূল্যের ৩০ শতাংশ পাবেন চিকিৎসা সেবায় সহয়তাকারী। বাকি ৭০ শতাংশ নেওয়া হবে সার্ভিস চার্জ বাবদ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ জানুয়ারি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সাথে বিভিন্ন চিকিৎসক পেশাজীবী সংগঠনসহ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘ইনস্টিটিউশনাল প্রাকটিস বিষয়ক একটি জরুরি সভায়’ নির্ধারিত কর্মঘণ্টা শেষে ১ মার্চ থেকে নিজ কর্মস্থলেই সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার ঘোষণা দিয়েছেন, যদিও তা শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এ সেবাটি চালু হলে চিকিৎসকরাও রোগীদের সেবা করার বেশি সুযোগ পাবেন। ডিউটি সময়ের বাইরে চিকিৎসকদের বিভিন্ন ক্লিনিক বা ফার্মেসিতে যেভাবে চেম্বার খুলে রোগী দেখতে হতো, সরকারি এই বিশেষ সুবিধার ফলে নিজ নিজ সরকারি কর্মস্থলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন।
এ বিষয়ে চিকিৎসক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের মতামত নিয়েছে সরকার। এই কাজটি শুরু করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এটি চালু হলে দেশের লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন ক্লিনিক, ফার্মেসিতে ডাক্তার দেখানোর ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এএইচ/এমইউ
-
৩১ মার্চ, ২০২৩
-
৩০ মার্চ, ২০২৩
-
৩০ মার্চ, ২০২৩
-
২৯ মার্চ, ২০২৩
-
২৭ মার্চ, ২০২৩
-
২৭ মার্চ, ২০২৩
