উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাৎক্ষণিক সিজারে বাঁচলো ২ প্রাণ

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বাসায় স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করেন ইয়াসমিন আক্তার, কিন্তু এ সময় জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েন তিনি। বাসায় অবস্থার অবনতি হলে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ইয়াসমিন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহা. আশরাফুল আলম নিপু ও ডা. কেয়া দাস তাৎক্ষণিক সিজারের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে নিশিচত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায় দুটি তাজা প্রাণ।
আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তর জানায়, গত ২২ মার্চ মা ও নবজাতকের জীবন রক্ষার্থে রাত্রিকালীন পরপর দুইটি সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। ইয়াসমিন আক্তার নামের এক মা বাসায় অদক্ষ ধাত্রীর সহায়তায় প্রসবের চেষ্টা করেন। এতে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। হাসপাতাল নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিসকরা ওই গর্ভবতী নারীকে সিজার করেন। শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ডা. নেসারুল করীম ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জামিলা জোহরার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়ই সুস্থ আছে।
একই দিনে আরও একজন গর্ভবতী মহিলা প্রত্যাশিত সময়ে ডেলিভারি না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানতে পারেন, মায়ের পেটে থাকা শিশুর অবস্থা শঙ্কাজনক। পরবর্তীতে সিজারিয়ান সেকশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। প্রসূতিসহ নবজাতক সুস্থ আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিমের নেতৃত্বে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অপারেশন হচ্ছে বলেও ফেইসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
এসএস/এএইচ