অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

ভাইস চ্যান্সেলর 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়


১১ মার্চ, ২০২৩ ০৭:০১ পিএম

বিএসএমএমইউকে বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে

বিএসএমএমইউকে বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন আর ত্যাগের অর্জন আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বিগত ২৫ বছর পথ পরিক্রমায় আজ ১৭ কোটি মানুষের পরম ভরসার আশ্রয়স্থল আমার এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বঙ্গবন্ধুর নাম বিজড়িত এই মহান বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে আপনাদেরকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত গৌরাবান্বিত মনে করছি। আর আজকের এই গৌরবের সবচেয়ে বড় উপলক্ষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর অর্জন করা সম্মানিত চিকিৎসকদেরকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু মাত্র বাংলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ সংস্থাই নয়, এটি আমাদের দেশের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গবেষণা, শিক্ষা আর প্রশিক্ষণেরও সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যাপীঠ। প্রতিদিন যেমন আমরা হাজারো রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করি, তেমনি প্রতি বছর শতশত মৌলিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এ রকম বিদ্যাপীঠে লেখাপড়ার সুযোগ পাওয়া স্বপ্নের, আর লেখাপড়া শেষ করে ডিগ্রি নেয়া স্বপ্ন পূরণের। আপনাদের সেই স্বপ্ন পূরণের মহাক্ষণকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়াশে আমাদের আন্তরিক আয়োজন চতুর্থ সমাবর্তন। 

চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার প্রথম তিন তারকা শাহবাগ হোটেলের জায়গায় ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন এন্ড রিসার্চ (আইপিজিএমএন্ডআর) প্রতিষ্ঠিত হয়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণার দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেও এই প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা ছিল না। ডিগ্রি প্রদান করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আইপিজিএমএন্ডআর কার্যক্রমসহ অনেক চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের এমবিবিএস ডিগ্রি প্রদান করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

জনগনের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মানুষের আকাঙ্খার জায়গায় পৌঁছেছে।

জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের আপামর জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন এ আকাঙ্খা নিয়ে যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল তা প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারো আইপিজিএমএন্ডআর করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন করেছিলাম তাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ মামলা হামলা করেছিল তৎকালীন সরকারের লেজুড় ভিত্তিক চিকিৎসক সংগঠন ড্যাব ও কর্মচারী গোষ্ঠী। এমন ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ দেশের সকল পেশাজীবী ও আপামর জনসাধারন তীব্র ক্ষোভ ও আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। এর ফলে বিএনপি-জামাত সরকার তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবুও ক্ষোভের বশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফলক থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলে সংক্ষেপে বিএসএমএমইউ লিখে পরিচিতি দেয়। এমনকি তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ দেশের জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবারও ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সেলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারডেম সংলগ্ন বেতার ভবনের জমি ও হাসপাতালের উত্তর পাশের ১২ বিঘা জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ৫২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ সহায়তা ও দিকনির্দেশনায় খুব দ্রুত নতুন কেবিন ব্লক সম্প্রসারণ, অনকোলজি ভবন, নতুন বহির্বিভাগ, আধুনিক আইসিইউ, ওটি কমপ্লেক্স, মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান, চাকরিসহ বিভিন্নক্ষেত্রে কোটা প্রবর্তনসহ নানামূখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেল গঠন করা হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা অল্প খরচে করা এবং আলাদা কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আমি আনন্দের সাথে জানাতে চাই, জাতির পিতার নামে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বসেরা সেবা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। স্পেনের সিমাগো এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্কপাস এ দুটো বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা মানসম্মত চিকিৎসা এবং গবেষণার জন্য অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ার মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানের মর্যাদা দিয়েছে।
 
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৫টি পোষ্টগ্রাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে। অন্যান্য ৪১টি মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬২টি রেসিডেন্সি কোর্স রয়েছে। চালু হয়েছে এমএসসি নার্সিং কোর্স। বাংলাদেশের ছাত্রদের বাইরেও ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সোমালিয়া, কানাডা, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের প্রায় ৩৫০ বিদেশী ছাত্র বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়া করছেন। 

প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় আট হাজার রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এখন বিভিন্ন ইউনিটসহ ৫৭টি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। আরো সুশৃঙ্খল এবং ডিজিটাল করা হয়েছে আর্থিক ব্যবস্থাপনা।

আমাদের হাসপাতালে এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি, মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়গণ, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কর্মকর্তাবৃন্দ, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সকল মানুষের কাছে পরিগণিত হয়েছে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য আস্থাস্থল হিসেবে।
 
রোগীদেরকে আরো উন্নত চিকিৎসা প্রদান করার লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যেই চালু করেছি ভিট্রিও রেটিনা, গ্লুকোমা, কণিয়া, অকুলোপ্লাস্টি, ক্যাটারেক্ট ও রিফ্রেকটিভ সার্জারি, অর্থোস্কোপিক ও অর্থোপ্লাস্টি, হ্যান্ড এন্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, শিশু এন্ডোক্রাইনোলজি, জেনারেল রিউম্যাটোলজি, ইমিউনো রিউম্যাটোলজি, ইলেক্ট্রোকাডিওলজি, ইকোকাডিওগ্রাফী, এডাল্ট কনজিনিটাল হাট ডিজিজ সহ ১৫টি ডিভিশন খোলা হয়েছে। এছাড়া সার্জিক্যাল অনকোলজি, কলোরেক্টাল সার্জারি, হেপাটোবিলিয়ারি এন্ড প্যানক্রিয়েটিক সার্জারি, গাইনোকলোজিক্যাল অনকোলজি, রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড ইনফার্টিলিটি, ফিটোম্যাটার্নাল মেডিসিন এবং ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ নামে আরো ৭টি বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুমোদিত হয়েছে নতুন শিশু অনুষদ। মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণাকে জোরদার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র (University Research Centre)।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘন্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগে রোগীর ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনলাইনে মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা এবং একুশে গ্রেনেড হামলায় আহত রোগীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় করোনা মহামারিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ ভ্যাক্সিনেশন কাযক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। এই চিকিৎসাসেবা কাযক্রমে এই বিশ্ববিদ্যালয় সংযুক্ত হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না যেয়ে কম খরচে উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া দেশে প্রথমবারের মত ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। লিভারসহ অন্যান্য অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমও সমন্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। 

ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র। বেসরকারি রেসিডেন্টদের জন্য সরকার থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা সম্মানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস। শিক্ষা, সেবাসহ সকল পর্যায়ের মান উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)। সকল শিক্ষক, কনসালট্যান্ট, কর্মকর্তা, নার্সদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

বিশ্ববিদ্যালয় জার্নাল এখন নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে দেশের প্রথম সারির জার্নাল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। গত তিন বছরে ১৫০০টি গবেষণা কর্ম সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিমাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংবাদসহ নিউজ লেটার নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রকাশনা, সকল জাতীয় আন্তর্জাতিক দিবস সমূহকে সঠিকভাবে উদযাপন করা হয়েছে। প্রতি মাসে সাইন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণে শিক্ষক, চিকিৎসকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। প্রতি বছর ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে। গত তিন বছরে ২৪০ জন শিক্ষক এবং ৯১০জন ছাত্রকে গবেষণা অনুদান দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্বারক চুক্তি।

আগামী পঞ্চাশ বছরের পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখে একটি মাস্টার প্লান নিয়ে চলছে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম। অচিরেই যুক্ত হতে চলেছে ইমার্জেন্সি সার্ভিস, ওয়ান পয়েন্ট চেকআপ সেন্টার, ডে কেয়ার সেন্টার, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন, ই-টিকেটিং, সর্বক্ষেত্রে স্মার্ট পদ্ধতি। 

অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমরা এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারপরও সকল শিক্ষক, ছাত্র, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, সেবা কার্যক্রম, গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে সফলতা নিয়ে।

প্রতিদিন এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ- দেশী-বিদেশী চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে। আমাদের ছাত্র এবং তরুণ চিকিৎসকরা এ সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে নতুন নতুন জ্ঞান/অভিজ্ঞতা নিয়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সোসাইটির সহযোগীতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র।

ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তা করব। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের বুকে একটা রোল মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করব, এই হলো চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভিসি হিসেবে আমার অঙ্গীকার। উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে এই প্রত্যাশা সবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতায় এবং সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের কর্ম পরিকল্পনায় সফল হবোই, ইনশাল্লাহ।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
কমিউনিটি ক্লিনিকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে ডা. মোদাচ্ছের

কমিউনিটি ক্লিনিক: বঙ্গবন্ধুর দর্শনই প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাস্তবায়ন

কমিউনিটি ক্লিনিকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে ডা. মোদাচ্ছের

কমিউনিটি ক্লিনিক: বঙ্গবন্ধুর দর্শনই প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাস্তবায়ন

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত