২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০৪:৫৪ পিএম

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: শেষ সময়ের প্রস্তুতি কেমন হবে?

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: শেষ সময়ের প্রস্তুতি কেমন হবে?
ফার্মাসিস্ট মায়ের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি নেন। আর তাতেই বাজিমাত করেন খুলনার ডুমুরিয়ার মেয়ে সুমাইয়া মোসলেম মিম।

ক্যারিয়ার বিষয়ক সচেতনতা তৈরির পর থেকেই স্বপ্ন দেখেন একজন প্রকৌশলী হওয়ার। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময়ও এ নিয়ে ছিলেন দৃঢ় প্রতীজ্ঞ।

তবে ফার্মাসিস্ট মায়ের প্রতি রোগীদের নির্ভরতা অবলোকন ও গর্ভধারীনির প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি নেন। আর তাতেই বাজিমাত করেন খুলনার ডুমুরিয়ার মেয়ে সুমাইয়া মোসলেম মিম। ২০২১-২২ সেশনে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর ভিড়ে অলংকৃত করেন শীর্ষ মেধাবীর স্থান। 

সম্প্রতি এই মেধাবী নিউরনের মুখোমুখি হয় মেডিভয়েস। আলোচনায় উঠে আসে চমকিত করা ফলাফলে তাঁর কৌশল ও প্রস্তুতির নানা কথা। সেই সঙ্গে আগামীর মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন ভর্তিযুদ্ধ বিষয়ক মূল্যবান দিকনির্দেশনা।

মেডিভয়েস পাঠকদের জন্য পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো। কথা বলেছেন মো. মনির উদ্দিন, ক্যামেরায় ছিলেন আব্দুল লতিফ সাদ্দাম। 

শেষ সময়ে নতুন কিছু শেখা নয় 

এরই মধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সেই আরাধ্য পরীক্ষা। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় এখন নেই। ১৫-২০ দিন সময় আছে। একেবারে শেষ সময়ে এসে আমাদের করণীয় হলো, পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই মুহূর্তে নতুন কিছু আমরা পড়বো না। ইন্টারমিডিয়েটে গত দুই বছরে আমরা যা পড়েছি এবং গত দুই মাসে যা প্রস্তুতি নিলাম, এইগুলোই হবে আমাদের মূল পড়াশোনা। যেসব বিষয় আমরা ইতিপূর্বে পড়েছি, যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যেসব প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার মতো—এগুলোকেই আমাদের বেশি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এর বাইরে কোনো কিছুই আমরা নতুন করে শিখবো না। ছোট ভাই-বোনদের জন্য এটা আমার মূল পরামর্শ। এর পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা যেসব পর‌ীক্ষা দিয়েছি, সেসব পরীক্ষায় আমাদের যে ভুলগুলো হয়েছে, সেগুলোতে নজর দিতে হবে। অর্থাৎ নতুন কিছু শেখার চেয়ে যেসব বিষয়ে খানিকটা দুর্বলতা রয়েছে, সেসবে গুরুত্ব দিতে হবে। 

এ সময়ে মডেল টেস্ট দিয়েছি

আমাদের সময় ফেব্রুয়ারি মাসে এসে ঘোষণা হয় যে, পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হবে। এর আগ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই আমাদের পড়াশোনা সীমাবদ্ধ ছিল। শেষ সময়ে এসে পূর্ণ সিলেবাস আয়ত্বে এনে দুটো সিলেবাসের মধ্যে সমন্বয় করে পড়াটাই ছিল অনেক দুরুহ ব্যাপার। তো মোটামুটি আয়ত্বে চলে আসার পর শেষ সময়ে এসে আমি মডেল টেস্ট দিতাম। এই পরীক্ষা অনলাইন অফলাইন দুই মাধ্যমেই চলতো। সে সময় রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষার আলোকেই পড়াশোনা করতাম। এর পাশাপাশি যে বিষয়গুলোতে আমার খানিকটা দুর্বলতা আছে, সে বিষয়গুলো নিজের সাজানো রুটিন অনুযায়ী, পড়াশোনা করেছি এবং প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছি। 

পরীক্ষার আগের রাতে কেবলই বিশ্রাম

পরীক্ষার আগের রাতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখে দেবে, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এটা সবার বেলায়ই ঘটে। এ থেকে নিষ্কৃতি পেতে কোনো পড়াই পরীক্ষার আগের রাত পর্যন্ত রেখে দেবো না। যতটুকু পড়ার তা পরীক্ষার আগের দিন সকাল-বিকাল পর্যন্তই দেখবো। পরীক্ষার আগের রাতটা বরাদ্দ থাকবে কেবলই বিশ্রামের জন্য। প্রয়োজনে ওই রাতে আমি ভালো লাগার যে কোনো কিছুই করতে পারি। খেলাধুলা, টিভি দেখা, ফোনে কিছু দেখা, অর্থাৎ একজন পরীক্ষার্থী যেভাবে নির্ভার ও স্বস্তি বোধ করে তা করাই তার জন্য অধিকতর কল্যাণের। ওই সময়টায় মানসিকভাবে হালকা থাকাটা জরুরি। এ সময় স্নায়ুচাপ স্বাভাবিক রাখতে পরিবারের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটানোটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের রাত জাগার অভ্যাস আছে, আমারও এটি ছিল—তাদের জন্য সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়াটা একটু কঠিন। তারা পরীক্ষার আগে দুই-চার দিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করতে পারে। ১১-১২টা বা সর্বোচ্চ ১টার মধ্যে। এই অভ্যাসটা করতে পারলে পরীক্ষার আগের রাতে যথাসময়ে ঘুমানো সম্ভব হবে এবং চাপও কম বোধ হবে। পরীক্ষার দিন সকালে উঠে আল্লাহকে ডাকতে হবে, যার যার ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনার পর চাইলে এক ঘণ্টা প্রয়োজনীয় পড়ায় নজর দেওয়া যেতে পারে। কেন্দ্রে যেসব জিনিস নিয়ে যেতে হয়, সেগুলো পরীক্ষার আগের রাতেই গুছিয়ে রাখবো। সকালে বের হওয়ার সময় একবার চেক করে বের হবো। ঢাকা শহরে অনেক যানজট থাকে। তাই হাতে যথেষ্ট সময় রেখেই বাসা থেকে বের হতে হবে। পরীক্ষায় যাওয়ার সময়ও অনেককে দেখা যায়, বই নিয়ে বসে আছে। এতে খুব বেশি লাভ নেই, বরং মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে ঢুকতে হয়। কেন্দ্রে ঢুকে আল্লাহকে স্মরণ করা যেতে পারে। বাবা-মায়ের কথা চিন্তা করতে পারি। তাহলে আশা করা যায়, পরীক্ষাটা ভালো হবে। 

মেডিকেলে ভর্তি হতে ৯০ এর অধিক উত্তর করতে হবে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ষাট মিনিটে ১০০ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এটা একটু জটিল। যদিও আমরা প্রস্তুতির সময়টাতে পরীক্ষা দিতে দিতে এ ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে যাই। পরীক্ষা দিতে গিয়ে সময় ব্যবস্থাপনা আমরা ভালোভাবে রপ্ত করে ফেলি। এর পরও যা অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হবে, সেটা হলো—প্রথম ২৫-৩০ মিনিটে পুরো প্রশ্নটা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। এর পর যেসব প্রশ্নোত্তর আমার ভালো মতো জানা, সেগুলোর উত্তর আগে করবো। জানা প্রশ্নোত্তরগুলোর কোনোটাই বাদ রাখার দরকার নেই। প্রথম ত্রিশ মিনিটে ৬৫-৭০টার উত্তর করতে পারলে যথেষ্ট হবে। তার চেয়ে কম হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ম্যাথসহ কিছু প্রশ্ন থাকে, যা নিয়ে আমাদের ভাবতে হয়। এসব প্রশ্ন হয় তো এক মিনিট ভেবে আমাদের উত্তর দিতে হবে। আধাঘণ্টার মধ্যে এমন প্রশ্নের উত্তর করার দরকার নেই। প্রথম দেখায়, যেগুলোর উত্তর পারা যাবে, সেগুলোর উত্তর দিতে হবে। পরের দশ মিনিট অপেক্ষাকৃত জটিল প্রশ্নগুলোর উত্তর ভেবে ভেবে দিতে হবে। তার পর ২/৩টি ম্যাথের প্রশ্ন আসলে সেটার উত্তর দেবো। শেষ পর্যায়ে ১০-১৫ মিনিট সময় হাতে পাওয়া যেতে পারে। অন্য দিকে সংশয়পূর্ণ ১০-১৫টি প্রশ্নও হাতে থেকে যাবে, সেখান থেকে ৫-৭টি দাগাবো। তবে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেতে চাইলে অবশ্যই ৯০ এর অধিক দাগানো উচিত। আর ডিএমসি যাদের লক্ষ্য, তাদের অবশ্যই ৯০ এর অধিক দাগাতে হবে। এর কম দাগানো হলে ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সুতরাং সংশয়পূর্ণ প্রশ্নগুলোও ধারণার ভিত্তিতে দাগাতে হবে। 

মেডিকেলই একমাত্র ভরসা, এমন চিন্তা নয় 

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আসলে বিরাট ভর্তিযুদ্ধ, যেখানে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ শিক্ষার্থী এক সঙ্গে পরীক্ষায় বসেন। এখানে স্নায়ু চাপ দেখা দেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। যারা মানসিকভাবে শক্ত থাকতে পারে, তাদের জন্য ব্যাপারটা এক রকম, কিন্তু যাদের জন্য এ চাপ খানিকটা কঠিন হয়ে যায়, তারা অল্পতেই বেশি চাপ নিয়ে নেয়। তাদের জন্য চাপ সামলে নেওয়া একটু কঠিন। এই জায়গাটা আমাদের অভিভাবকবৃন্দ তাদের সন্তানদেরকে মানসিকভাবে শক্তি জোগানো উচিত। এই সময়টায় তারা যেন ভেঙে না পড়ে। বাবা-মায়ের শিক্ষার্থীর পাশে থাকাটা জরুরি। আর শিক্ষার্থীরা এ ক্ষেত্রে ভাবতে পারে যে, মেডিকেলই তার একমাত্র ভরসা না। তার জন্য আরও অবারিত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তার যে প্রস্তুতি ও সামর্থ তা দিয়ে অন্যান্য অনেক জায়াগায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিকল্প রয়েছে। ভাবনাটা এমন গেলে স্নায়ুচাপ কিছুটা হলেও কমবে। সুতরাং মেডিকেলই একমাত্র ভরসা, ফলে এটা না হলে কোনো দিকে যাওয়া যাবে না, এমন চিন্তা করা যাবে না।    

পরীক্ষার আগে সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকা শ্রেয় 

এক সময় মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার একটু সুযোগ ছিল। কিন্তু গত ৪-৫ বছর এমন ঘটনা খুব একটা শোনা যাচ্ছে না যে, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। তার পরও পরীক্ষার কিছু আগে, বা পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যারা মনোযোগী ও যথাযথ প্রস্তুতি নেয়, তাদের অবশ্যই এগুলোতে কান দেওয়া উচিত না। এজন্য পরীক্ষার ২/১ দিন আগে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকাটাই শ্রেয়। কারণ এই সময় এই মাধ্যমেই গুজবটা ছড়ায়। 

স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে ভাবনা 

সর্ব প্রথম আমার গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করতে চাই। আমার আশপাশে চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। সত্যি কথা বলতে আমি ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর দেখেছি মানুষের চাওয়া-পাওয়ার জায়গাটা কতটুকু। উপলব্ধি করেছি, চিকিৎসা পেশা কতটা ভরসার জায়গা। আমার আম্মু একজন ফার্মাসিস্ট। তার ওপর মানুষের ভরসা যতটুকু দেখেছি, তখন বুঝতাম, একজন চিকিৎসকের ওপর মানুষের ভরসার জায়গাটা অন্য রকম। এর পর নিজে পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর থেকে মানুষের ভরসার যতটুকু আভাস পাচ্ছি, তাতেই ভালো লাগা কাজ করে। তাই প্রথমত তাদের জন্য কিছু করার। তাদের পাশে দাঁড়ানোর। সাথে সাথে অবশ্যই দেশের মানুষের জন্য কিছু করার ব্যাপক ইচ্ছা আছে।  

নিওরোসার্জন হওয়ার ইচ্ছা 

এখনো পুরোপুরি সিদ্ধান্ত স্থির করিনি। তবে ইচ্ছা আছে, নিওরোসার্জারির দিকে যাওয়ার। আল্লাহ ভরসা দেখা যাক, কত দূর যেতে পারি। ভালো লাগা থেকে এ বিষয়ে যাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়েছে। যেহেতু মেডিকেল শিক্ষার কোর বিষয়গুলোতে এখনো যাওয়া হয়নি, সুতরাং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে কিনা, জানি না। ইন্টারমিডিয়েট থেকে আমার মেডিকেলে আসার খুব একটা ইচ্ছা ছিল না। প্রকৌশলী হওয়ার প্রবল ইচ্ছা ছিল। শেষ মুহূর্তে এসে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি। কারণ আমার পরিবারে কোনো চিকিৎসক নেই। পাশাপাশি আম্মুরও প্রত্যাশা ছিল, আমি যেন চিকিৎসক হই। এর পর আমি সিদ্ধান্ত নিই যে, মেডিকেল আসবো। তবে কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবো, এ ব্যাপারে আম্মুর কোনো চাওয়া ছিল না। বাসা থেকে এ ব্যাপারে কারও কোনো সিদ্ধান্ত নেই, আমার সিদ্ধান্তই তারা মেনে নেবেন ইনশাল্লাহ। 

প্রথম হবো, কখনো ভাবিনি 

কখনোই প্রথম হওয়ার কথা ভাবিনি। এই পর্যন্ত যারা প্রথম হয়েছে, তারা কেউই প্রথম হওয়ার চিন্তা করেননি। এটা আসলে সম্ভব না। ঢাকা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাবো, এতটুকু হয় তো কেউ বলতে পারে। কিন্তু প্রথম হওয়া বা প্লেস হওয়ার কথা চিন্তা করা যায় না। আমি তো কখনোই চিন্তা করিনি। প্রস্তুতির আলোকে আমার সর্বোচ্চ ভাবনা ছিল, হয় তো ঢাকা মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবো। 

বেড়ে ওঠার গল্প

সুমাইয়া মোসলেম মিমের জন্ম ২০০৪ সালের ১১ অক্টোবর, খুলনার ডুমুরিয়ায়। তার পিতা মোসলেম উদ্দিন সরদার ডুমুরিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। মা খাদিজা খাতুনও একজন সরকারি চাকরিজীবী। তিনি কেশবপুর উপজেলার পাজিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট পদে কর্মরত রয়েছেন।

আশৈশব তুখোর মেধাবী মিম পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা ও জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরর্বীতে ডুমুরিয়া গার্লস স্কুল থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পাস করেন। পরে চলে যান খুলনা শহরে। সেখানে সরকারি এম এম সিটি কলেজ থেকে ২০২১ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। অতীতের ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকেও মেধার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ এই দুই পরীক্ষাতেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান।

এএইচ

 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত