১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০২:৪৭ পিএম

ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে: বিএসএমএমইউ ভিসি

ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে: বিএসএমএমইউ ভিসি
ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সারের হিসাব মতে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। আজ সকাল ৯ টায় এই দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-ব্লকে দ্বিতীয় তলায় মিলনায়তনে শিশু হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে 'বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন চিলড্রেন এন্ড ক্যান্সার ভ্যাকসিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগন্যান্সি' শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও ডি- ব্লকের সামনে সচেতনতামূলক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমই ‘র ভিসি অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ক্যান্সার যাতে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে। স্টেম সেল থেরাপি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাস্তবায়ন করতে হবে।

ভিসি বলেন, বিএসএমএমইউয়ে শিশু হেমাটোলজি অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা ৩১ শয্যার ওয়ার্ড নিয়ে ১০ হাজার শিশু রোগীকে সেবা দিয়েছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে।

সেমিনারে ‘বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন চিলড্রেন’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারায়না হেলথ সিটি ব্যাঙ্গালোর, ভারত থেকে আগত সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. সুনিল ভাট এবং ‘ক্যান্সার ভ্যাক্সিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগনেন্সি’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেনেসা ইসলাম।

এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেশি। তবে এছাড়াও কিডনির টিউমার, লিভারের টিউমার, চোখের টিউমার, ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয়।

তারা বলেন, ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সারের হিসাব মতে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করা গেলে ও উন্নত চিকিৎসা পেলে শতকরা ৭০ ভাগ রোগী সেরে উঠতে পারে। উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উন্নত দেশ গুলোতে ক্যান্সার থেকে সেরে উঠা রোগীর হার শতকরা প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ।

ডা. সুনিল ভাট বলেন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বা স্টেম সেল প্রতিস্থাপন হল একটি প্রক্রিয়া যা ক্ষতিগ্রস্থ বা রোগাগ্রস্থ বোন ম্যারো, রক্ত সৃষ্টিকারী স্বাস্থ্যকর স্টেম সেল দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ২ ধরনের, অটোলোগাস ট্রান্সপ্ল্যান্ট ( নিজস্ব শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ করে) এবং অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট (দাতার থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ করা হয়)।

তিনি বলেন, ফিরে আসা লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া, গুরুতর লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া, রিফ্র্যাক্টরি হেমাটোলজিকাল ম্যালিগনেন্সি, নিউরোব্লাস্টোমাসহ আরো কিছু গুরুতর ক্যানসারের চিকিৎসায় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন বা স্টেম সেল প্রতিস্থাপন একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। উন্নত বিশ্বে এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে চিকিৎসা সফলতার হার বেড়ে গেছে। বাংলাদেশেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। কিন্তু তা এখনো পুরোদমে শুরু করা যায়নি বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে। 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত