আসছে নতুন কাব্যগ্রন্থ
সাহিত্য চর্চায় আনন্দ খুঁজে পাই: অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন

এবারের অমর একুশে বইমেলায় আসছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেনের (কবি নাম মোশাররফ শরিফ) কাব্যগ্রন্থ ‘সূর্যোদয়ে সূর্যস্নান।’ জাগৃতি প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশ করেছেন রাজিয়া রহমান। এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন আনিসুজ্জামান সোহেল। লেখকের চতুর্থ এই গ্রন্থের বিনিময় মূল্য ধরা হয়েছে ২৬০ টাকা।
বইয়ের উপজীব্য
সূর্যোদয়ে সূর্যস্নান শিরোনামের আড়ালে মোড়কবন্দি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ৩৫টি কবিতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বন্ধু দেখা হবে, ভুল করে ভুল ঘরে, অনলে পুড়িয়া যায়, তোমার ভেতরে যাবো, প্রিয় পৃথিবী, একা, আমার কবিতা, গন্তব্য, ভুলো মন ভুলে যায়।
বইয়ে শোভিত কবিতাগুলোর বিষয় বৈচিত্রের কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. মোশাররফ হোসেন মেডিভয়েসকে বলেন, কাব্যগ্রন্থটি মূলত প্রেমের কবিতা দিয়ে অলংকৃত হয়েছে। এ ছাড়াও কয়েকটি রাজনৈতিক কবিতাও রয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্ট নিহত ১৮ জনের একজন শেখ শিশু রাসেল ও বঙ্গমাতাকে নিয়ে কবিতা আছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় কবির শরণার্থী শিবিরের স্মৃতি অবলম্বনে একটি কবিতা রয়েছে।
‘শরণার্থী শিশু ’৭১’ শিরোনামে ওই কবিতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, শৈশবে সোনালী স্মৃতির অন্যতম হলো শরণার্থী শিবিরে মা-বাবা, ভাই-বোনের সঙ্গে ৯ মাস অবস্থান। পশ্চিমবঙ্গের তরঙ্গপুর ক্যাম্পে এক বাড়ির গোয়াল ঘরে আমাদের পরিবারের পাঁচজন সদস্য ছিলাম। সেখানে যাওয়া, অবস্থান এবং ফেরার পথে নানা লোমহর্ষক স্মৃতি এখানে উঠে এসেছে।
প্রচ্ছদ ও নামকরণের প্রাসঙ্গিকতা
অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, সূর্যোদয়ে সূর্যস্নান গ্রন্থে একটি আবেগের বিষয় আছে। আমি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি। গ্রামের বাড়ি মুক্তিযোদ্ধা ভিলায় একটি পুকুর ছিল। সেই পুকুরের পাড়ে বাস ভবন। শৈশবে আমাদের স্কুল শুরু হতো সকাল ৮টায়। পুকুরে গোসল করে একদল শিশু (আমরা) বাঁশবনে সূর্যের আলোয় শরীর শুকিয়ে স্কুলে যেতাম। সূর্যোদয়ে সূর্যস্নান সেই স্মৃতির প্রতিচ্ছবি।
‘অতিসম্প্রতি করোনার সময় আমরা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছি, সূর্যের আলো আমরা খুব কম পাই। ফলে ভিটামিন ডি’র শূন্যতা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। ওই সময় ২০-২৫ ভাগ রোগীর মধ্যে আমরা এর কার্যকারিতার অভাব লক্ষ্য করেছি। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে এই ভিটামিন ডি’র ভূমিকা রয়েছে। এই ভিটামিন কমে গেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়’, যোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সময়ের শিশুরা সকালে ঘুম থেকে ওঠায় অভ্যস্ত না। তারা বিলম্বে শয্যা ছাড়ে (লেট রাইজার)। আমরা আগে বলতাম ও মানতাম, ‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ, মেকস আ ম্যান হেলদি ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’,—সেই জায়গায় এখন ‘লেট’ হয়ে গেছে। ওরা দেরি করে ঘুমায় এবং দেরি করে ওঠে। এটা আমাদের ক্ষতি ডেকে আনবে। বিষয়টি বোঝানোর জন্য বইয়ের প্রচ্ছদে একটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, আমরা একটি আবদ্ধ করে গোসল করছি, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছাচ্ছে না। আমাদের সকল স্নানঘর অন্ধকার। কৃত্রিম আলো দিয়ে এটি আলোকিত করছি এবং সেখানে গোসল করছি। সে কারণে আমরা যদি সূর্যোদয়ে সূর্যস্নান করার অভ্যাস গড়ে তুলি, তাহলে হয় তো আমার কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম ও প্রচ্ছদের স্বার্থকতা মিলবে।
উৎসর্গ
কবি মোশাররফ শরিফ সূর্যোদয়ে সূর্যস্নান বইটি তাঁর সন্তান বিভা মোশাররফ ও মাহির মোশাররফ এবং আমৃত্যু সঙ্গী স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কোহিনূর আহমেদকে উৎসর্গ করেছেন।
লেখালেখি শুরু যেভাবে
ঢাকা মেডিকেলে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ার সুবাদে ১৯৮২ সালে ঢাকা আসার পর ডা. মোশাররফ হোসেনের লেখালেখিতে হাতেখড়ি। তাঁর লেখায় রয়েছে প্রেম, বিরহ ও রাজনীতির সুন্দর মিশেল।
তিনি বলেন, গ্রামীণ পরিবেশ থেকে শহরে যখন আসলাম, তখন মূলত লেখালেখিটা শুরু হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আমার সক্রিয় যাত্রা। এর আগেও লিখেছি, তবে এগুলো পূর্ণতা পায়নি। এ ছাড়াও ছোটবেলায় স্কুলজীবনে খানিকটা আঁকাআঁকির প্রবণতাও ছিল। তবে চূড়ান্তভাবে মনে হয়েছে, লেখালেখিটা আমি মনে হয় কিছুটা জানি।
ঢাকায় আসার পর লেখালেখির কল্যাণে একেএম মোশাররফ হোসেনের জীবনের প্রথম খণ্ডকালীন চাকরি হয় দৈনিক আজাদ ও বাংলাদেশ টাইমসে স্বাস্থ্য বিটে। এর পাশাপাশি সপ্তাহিক বিচিত্রা ও তারকালোকে প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, ‘বিচিত্রায় আমার অনেক কাভার স্টোরি ছাপা হয়েছে। নিঃসঙ্গ আততায়ী ক্যান্সার, উচ্চশিক্ষা সংকট, সেশনজট, চিকিৎসক ধর্মঘট, রোগীরা জিম্মি—এ রকম বেশ কিছু স্টোরি, যেগুলো পরবর্তীতে বর্ষসেরা কাভার স্টোরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়। সে সময় প্রায় সবার ঘর, বৈঠকখানা ও ড্রয়িংরুমে বিচিত্রা দেখা যেতো।
তারপর কবিতা লেখায় মনোযোগী হন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তখন কিছু কিছু কবিতা ছাপাও হয়েছে। তখন উৎসাহও পেয়েছি। এসব নিয়ে ১৯৮৭ সালে পদ্যগ্রন্থ ‘লাল খামে নীল চিঠি’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তারপর দীর্ঘ বিরতি। সম্প্রতি মনে হলো, এতো দিনের লেখাগুলো যদি গ্রন্থিত করি, তাহলে হয় তো লেখাগুলো বাঁচবে। সংরক্ষিত না হলে এগুলো কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে। সেই চিন্তা থেকেই এই কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করা।’
২০১৮ সালে অধ্যাপক মোশাররফ হোসেনের ‘বক্ষব্যাধি: চিকিৎসা ও প্রতিরোধ’ বইটি প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া তাঁর অ্যাজমা, সিওপিডি ও ধূমপায়ী রোগীদের নির্দেশিকামূলক সম্পাদিত গ্রন্থ রয়েছে।
পেশা ও সাহিত্যাঙ্গনে বিচরণ কৌশল
অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন দেশে মেডিকেল শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসা সেবা, সাংসারিক দায়িত্ব পালন, বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে যুক্ত থাকতে হয়। এসবের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার জন্য কিভাবে সময় বের করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে খুবই উপভোগ্য বিষয়। সারা দিনের কাজ শেষে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুই লাইন কবিতা লিখা, দুই লাইন কবিতা আবৃত্তি করা বা দুই লাইন কবিতা বা গান শোনা চমৎকার বিনোদন ও ভাবনাহীন বিশ্রামের অংশ। এর মাধ্যমে ভালো ঘুমও হয়।’
জন্ম ও পড়াশোনা
অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেনের জন্ম ১৯৬২ সালে ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পূর্ব হাসানপুরে। পিতা আলহাজ সিদ্দিকুর রহমান ও মাতা জোবেদা খানম। মোশাররফ হোসেনের পড়াশোনা শুরু দাদার হাতে মক্তবে। বাড়ির আঙিনায় কাচারি ঘরে সকাল বেলায় আরবী (আলিফ, বা, তা) শিখতেন। তার পর অপরাহ্নে শিখতেন আদর্শ লিপি অর্থাৎ বাংলা। পরবর্তীতে হাসানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। দুচালা টিন শেডের উন্মুক্ত স্কুল ঘরটি এখন দালানে পরিণত হয়েছে। সেখানে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। এর পর পিতার চাকরি সূত্রে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে চলে যান দিনাজপুরে। সেখানে বালুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মডেল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন। পরে রাজশাহীর মিশন স্কুলে পড়াশোনা করেন।
এরপর চট্টগ্রামের পিএইচ আমীন একাডেমি থেকে ১৯৮০ সালে এসএসসি ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ১৯৯৫ সালে এফসিপিএস ও ২০১০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল থেকে ২০০৩ সালে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে ১ বছরের ফেলোশিপ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। অধ্যাপক ডা. মোশাররফ ২০০৫ ও ২০১১ সালে সম্মানসূচক এফসিসিপি ও এফআরসিপি অর্জন করেন। ২০০৫ সালে ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি সোসাই তাঁকে ‘ইয়াং ইনভেস্টিগেটর অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করে।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন
ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন নবম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। তাঁর প্রথম কর্মস্থল ছিল কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হাওরাঞ্চল হুমায়ুনপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পাঁচ মাস দায়িত্ব পালনের পর এফসিপিএস পার্ট-১ করেন। তারপর ঢাকা মেডিকেলে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার, পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেলে আরপি, সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি ইস্তফা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নব প্রতিষ্ঠিত বক্ষ ব্যাধি বিভাগে প্রথম সহকারী অধ্যাপক (রেসপিরেটরি) হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৭ সালে ১ জুলাই এ বিভাগ রেসপিরেটরি মেডিসিনে রূপান্তরিত হয়। তিনি বিভাগের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০১৪ সালে বিএসএমএমইউতে পালমনোলজি কোর্স চালু হয়। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের (অ্যাকাডেমিক) দায়িত্ব পালন করছেন।
কর্মজীবনের সূচনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, তখন সরকারি চাকরি চিকিৎসকদের জন্য রিনিউয়াল বেসিসে রাখা হয়। সে সময় তাঁদের দুই বছর মেয়াদে চাকরি দেওয়া হতো। এটি এরশাদ সরকারের সময়ের প্রস্তাবনা ছিল। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আজিজুর রহমানসহ কয়েকজনের চিন্তার ফসল এটি। তখন একটি ধারণা ছিল, চিকিৎসকদের সরকারি চাকরিতে দেওয়া হলে তারা আমলা হয়ে যাবেন। তখন আরও বলা হয়, চিকিৎসকরা যেন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে না পারেন, তারা বরং শুধু ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস করবেন। পরে এসব ঘিরে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে। স্তিমিত হতে চলা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তখন নতুন মাত্রা পায়।
পেশাজীবী নেতা হিসেবে সমুজ্জ্বল
পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেনের রয়েছে সরব বিচরণ। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি, ঢাকা মেডিকেল অ্যালামনাই ট্রাস্ট ও অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ান্সের (এপিবি) বিভিন্ন মেয়াদে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে ফেলোশিপকালীন ফেলো ওয়েল ফেয়ার কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ জার্নালের সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিকেল জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক ও এপিবি জার্নালের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
-
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
সাহিত্য চর্চায় সুযোগের জন্য সাবজেক্ট পরিবর্তন করি
পরিমার্জন-পরিবর্ধনে শুদ্ধতম সাহিত্যই কবিতা: ডা. হারিসুল হক
-
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
-
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
-
২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
আসছে নতুন কাব্যগ্রন্থ
সাহিত্য চর্চায় আনন্দ খুঁজে পাই: অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন
-
২২ জানুয়ারী, ২০২৩
-
১৫ মার্চ, ২০২২
-
১০ মার্চ, ২০২২
-
০৬ মার্চ, ২০২২
-
০৫ মার্চ, ২০২২
-
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২